সাগরে ৬৫দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ

- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১ ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
২০ মে থেকে ২৩ জুলাই টানা দু’মাস সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করলো সরকার। মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকছে।
সামুদ্রিক মৎস্য আইনে ২০১৫ সাল থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে চলেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক। মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি মৎস্যজীবী পরিবারকে ১৬ হাজার ৭২১.৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সমুদ্রে কোন প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
এবিষয়ে বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও তৌফিকুল
আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, নৌপুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশপরিদর্শক মোঃ আতিকুল ইসলাম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম এর পরিচালক, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে মৎস্যজীবীদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো নির্দেশা দেওয় হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন।