ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের ফেরত নিতে ব্যর্থ চীন, জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ গত ২ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চায়না লেবার ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ) বিদেশে আটকা পড়া প্রায় ১০০ চীনা শ্রমিকের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে ‘সাইলেন্ট ভিকটিমস: বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ ওয়ার্কার্স স্ল্যাঙ্কড ওভারসিজ ইন দ্য নিউ করোনেশন এপিডেমিক’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

এই শ্রমিকরা করোনার কারণে ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, সিঙ্গাপুর, জর্ডান, পাকিস্তান, সার্বিয়া এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরা মূলত বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ বেতনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। তাদের বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিদেশের মাটিতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

উহান থেকে করোনার সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর চীনা সরকার সব ধরনের বিদেশি ফ্লাইটের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ কারণে ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাছাড়া নিয়োগকর্তারাও তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে চায়নি। ওইসব শ্রমিকের কেউ কেউ আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালেও  উপযুক্ত চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। এছাড়াও একই কক্ষে গাদাগাদি করে থাকার কারণে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আহত শ্রমিকরা স্থানীয় চীনা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ এসব শ্রমিকদের সুরক্ষার বা দেশে ফেরত নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখেনি চীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শ্রমিকদের ফেরত নিতে ব্যর্থ চীন, জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ গত ২ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চায়না লেবার ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ) বিদেশে আটকা পড়া প্রায় ১০০ চীনা শ্রমিকের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে ‘সাইলেন্ট ভিকটিমস: বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ ওয়ার্কার্স স্ল্যাঙ্কড ওভারসিজ ইন দ্য নিউ করোনেশন এপিডেমিক’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

এই শ্রমিকরা করোনার কারণে ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, সিঙ্গাপুর, জর্ডান, পাকিস্তান, সার্বিয়া এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরা মূলত বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ বেতনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। তাদের বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিদেশের মাটিতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

উহান থেকে করোনার সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর চীনা সরকার সব ধরনের বিদেশি ফ্লাইটের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ কারণে ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাছাড়া নিয়োগকর্তারাও তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে চায়নি। ওইসব শ্রমিকের কেউ কেউ আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালেও  উপযুক্ত চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। এছাড়াও একই কক্ষে গাদাগাদি করে থাকার কারণে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আহত শ্রমিকরা স্থানীয় চীনা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ এসব শ্রমিকদের সুরক্ষার বা দেশে ফেরত নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখেনি চীন।