ছবি সংগ্রহ
ধাপে ধাপে ২২ জেলায় হবে নির্বাচনী পরীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২ জেলার পরীক্ষা সময় নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। করোনা কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে শিক্ষক ঘাটতির কারণে পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত হচ্ছে। পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রস্তিুতি নিতে ২২ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছে। যেসব জেলায় সহকারী শিক্ষ নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ ও কাজীপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর ও শার্শা; ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরিপুর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, বারহাট্টা, দূর্গাপুর, কলমাকান্দা ও কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা,
করিমগঞ্জ ও কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের সদর, ভূয়াপুর, দেলদুয়ার, নবাবাড়ী, ঘাটাইল ও গোপালপুর; কুমিল্লার বরুড়া, ব্রাক্ষ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম সদর, মেঘনা ও দাউদকান্দি, নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি ও সূবর্ণচর উপজেলার পরীক্ষা হবে। এসব উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থী থাকার কথা জানায় অধিদপ্তর।
১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় ১ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে উত্তীর্ণদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।