স্বাস্থ্যবিধি ভেসে গেছে খড়স্রোতা পদ্মায়!

- আপডেট সময় : ০৬:১৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্যবিধি ভেসে গেছে খড়স্রোতা পদ্মায়। ঘরমুখো মানুষের চাপে ফেরিতে নির্ধারিত যানবাহন পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনার হানা রুখতে সরকার দূরপাল্লার ঘনপরিবহন বন্ধ রাখার পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ এবং পুলিশ হাজারো মানুষকে সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। ফেরিতে পদ্মা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকছেন হাজারো মানুষ। ঘাটে ফেরি ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে মানুষ ফেরি ওঠছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে পাত্তা দিচ্ছে না তারা।
ঢাকার অদূরে মাওয়ার শিমুলিয়া এবং পদ্মার দক্ষিণ তীরে বাংলাবাজার নৌপথে ঘরমুখো মানুষের চাপে স্বাস্থ্যবিধি উদাও। মাস্ক পড়াতো দূরের কথা গাদাগাদি করে হাজারো দুর্ভোগকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।
লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় পুরো চাপ পড়েছে ফেরির ওপরে। ফলে যানবাহন পারপার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য যানবাহনের দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ লাইন।
শুক্রবার কাকডাকা ভোরে বিকল্প উপায়ে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে হাজারো মানুষ।
গেল সোমবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ যাত্রীর মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
অপর দিকে গণপরিবহনের আর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশানা উপেক্ষা করা হচ্ছে। বহু বাসে আসন প্রায় পূর্ণ এবং দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।
ঘরের বাইরে মাস্ক পরার বিষয়ে আটটি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসিনাতা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে অনিহা এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিআইডব্লিউটিস’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি ফেরিতে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। হাজারো চেষ্টা করে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এতে নির্ধারিত যানবাহন পারাপারে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
উভয় তীরে পারাপারের অপেক্ষা হাজারো যানবাহন দির্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাট এলাকায় মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। এখানে পদ্মার জল আর স্বাস্থ্যবিধি একই কথা! ভোর থেকে বিশাল আকারের ১৫টি ফেরি চালিয়েও কুলানো যাচ্ছে না।