যাত্রী সেবায় বিআরটিসি বাস সার্ভিস

- আপডেট সময় : ০৯:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা যখন দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, ঠিক সেই সময় এ যাবতকালের উল্লেখ যাত্রী সেবা নিয়ে মাঠে নামলো বিআরটিসি। অত্যন্ত সময়োপযোগী বিআরটিসির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবার পর দুর্ভোগে পড়েন হাজারো মানুষ। এসব মানুষদেও সেবা দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন বিআরটিসির তরফে। কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি বাস ছিলো যাত্রীতে ঠাঁসা। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিআরটিসির এই সার্ভিস চালু থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে রেল যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রেলের বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীরা তাদের কেনা রেল টিকিটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ সব স্থান থেকে ঢাকাতে এই সার্ভিসের মাধ্যমে গন্তব্যে যেতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
কমলাপুর রেল স্টেশনে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রার উদ্দেশ্যে হাজির হয়েছে শত শত যাত্রী। কেউ যাবেন ময়মনসিংহ, কেউ নেত্রকোনা আবার কেউবা রাজশাহী কিংবা কক্সবাজার। ভোরের আলো ফোটার আগেই যাদের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে হাজারো যাত্রী ভিড় জমায়। স্টেশনে পৌঁছানোর পর তারা জানতে পারে ট্রেন চলাচল বন্ধ।
ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের দুশ্চিন্তা অনেকটা কমিয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। কমলাপুর রেল স্টেশনে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলো বিআরটিসি বাস। একে একে কমলাপুর থেকে ১০টি এবং এয়ারপোর্ট থেকে ১১টি বাসে যাত্রীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রা করে বিআরটিসি।
রেল স্টেশনে এমন আকস্মিক কর্মবিরতিতে বেশ স্থবিরতা তৈরি হয়। ঘটনা পর্যবপক্ষন করতে সরেজমিনে আসেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেই সাথে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান ইয়াসীনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কমলাপুর রেল স্টেশনে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে বিআরটিসি স্টাফদের দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায়। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে রেলের টিকিট দেখিয়ে সারাদেশে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।
কর্মবিরতি দেয়া স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন দেয়া এবং আনুসাঙ্গিক সুবিধা দেয়ার দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।