পাকিস্তানে জোরদার হচ্ছে ইমরানবিরোধী আন্দোলন
- আপডেট সময় : ০৫:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০ ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক, ঢাকা
পাকিস্তানে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে ইমরান খানের সরকারবিরোধী আন্দোলন। প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা উপেক্ষা করেই ইমরান খানের সরকার পতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর লাখো মানুষ। ইমরানের সরকারকে সেনাবাহিনীর ‘পুতুল সরকার’ বলে ক্ষমতা থেকে সরাতে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান, ইন্ডিয়া টুডে। ইমরানবিরোধী রাজনীতিতে বিরোধীরা সোচ্চার হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
অক্টোবর মাসে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) গঠন করে। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে দেশটির বামপন্থী, ডানপন্থীসহ উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো অভূতপূর্ব এই ঐক্য গড়ে তোলে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এই জোট একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এর মধ্যে নওয়াজ শরিফের জামাতা সাফদার আওয়ানকে সেনাবাহিনী ও সরকার মিলে গ্রেফতার ও হেনস্থা করার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা অভিযোগ করে, ইমরান খান একটি পুতুল সরকারের প্রধান। নওয়াজ শরিফ লন্ডন থেকে প্রচারিত তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এই সরকারকে পেছন থেকে কারা চালাচ্ছে তা সবাই জানে।
এছাড়া ইমরান খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিরোধীদলগুলোর অভিযোগ- সেনাবাহিনীর মদদেই ক্ষমতায় এসেছেন ইমরান খান। সাফদার আওয়ানকে গ্রেফতারের পর সেনাবাহিনী বেশ বিব্রত হয়েছিল। ইমরানকে সহায়তা করার কথা সেনাবাহিনী অস্বীকার করেছে। ইমরানও বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার কোনো ধরনের বোঝাপড়া নেই। তার অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জনসমাগম আয়োজন করার ব্যাপারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রোববার পেশাওয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়। ২০২৩ সালের আগে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে না। তারপরও ইমরানবিরোধী বিক্ষোভ থেমে নেই। ১৬ অক্টোবর থেকে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) একের পর এক বিক্ষোভ আয়োজন করছে। ধর্মীয় দল থেকে শুরু করে কিছুটা বামপন্থী চিন্তাধারার দল, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যরাও এই জোটের সঙ্গে যুক্ত। বিরোধী দলগুলোর দাবি, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্ব না করা’ এই সরকারকে সরে যেতে হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব তৈরি করা এবং অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলেছে তারা। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)। স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৮ সালের নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় নির্বাচন ছিল। কিন্তু ইমরান খানের দাবি নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পার্টি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির দল পিপিপির ব্যাপক দুর্নীতিতে বিরক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।