ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেসবুক থেকে নেওয়া পরীমনি

ঢাকা বোট ক্লাবে শারীরিক হেনস্তা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি মামলা করার দু’দিন পর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, ৭ জুন পরীমনি ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ক্লাবে গিয়ে গ্লাস ভাঙচুর অভিযোগ তোলা হয়েছে পরীমণির বিরুদ্ধে।

গুলশান থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৭ জুন গভীর রাতে। তবে এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নতুন করে এই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে।

জানতে চাইলে পরীমনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা ফালতু একটা অভিযোগ। এত দিন পরে কেন এই অভিযোগ?’

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯-এর একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমনি। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।


নায়িকা পরীমনি ফেসবুক থেকে

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্লাবে আবারও পরিদর্শনে যাব।’ এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময়’কে বলেছেন, ঘটনার দিন পরীমনি একজন সদস্যের মাধ্যমে কয়েকজনকে নিয়ে ক্লাবে আসেন। তার পোশাক দেখে ক্লাবের একজন সদস্য আপত্তি তোলেন। তাকে চলে যাওয়ার অনুরোধো করেন।

কিন্তু পরীমনি তার কথা না শোনায়, তিনি নিজেই চলে যান। পরীমনি যে সদস্যের মাধ্যমে এসেছিলেন তিনিও পরীমনিকে চলে যেতে বলেন। পরিমনী কথা না শোনায় এক পর্যায়ে ওই সদস্যও চলে যান।

আলমগীর ইকবাল বলেন, পরীমনি তখন চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে গ্লাস, ছাইদানী ছুড়ে মারতে থাকেন। পরীমনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ আসার পরও তিনি এগুলো ছুড়তে থাকেন। তখন ক্লাবের দু’জন ওয়েটার ছিল।

ছবি ফেসবুক  থেকে

এ সময় পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ শোনেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের অনুরোধে পরীমনি ও অন্যরা চলে যান। এরপর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, পরীমনি যে সদস্যের সঙ্গে ক্লাবে এসেছিলেন তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮ জুন পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাঁকে শারীরিক হেনস্তার ও হত্যার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত সোমবার ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এই নায়িকা। মামলার পর পুলিশ প্রধান দুই আসামিসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ১০:০২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

ফেসবুক থেকে নেওয়া পরীমনি

ঢাকা বোট ক্লাবে শারীরিক হেনস্তা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি মামলা করার দু’দিন পর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, ৭ জুন পরীমনি ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ক্লাবে গিয়ে গ্লাস ভাঙচুর অভিযোগ তোলা হয়েছে পরীমণির বিরুদ্ধে।

গুলশান থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৭ জুন গভীর রাতে। তবে এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নতুন করে এই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে।

জানতে চাইলে পরীমনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা ফালতু একটা অভিযোগ। এত দিন পরে কেন এই অভিযোগ?’

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯-এর একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমনি। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।


নায়িকা পরীমনি ফেসবুক থেকে

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্লাবে আবারও পরিদর্শনে যাব।’ এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময়’কে বলেছেন, ঘটনার দিন পরীমনি একজন সদস্যের মাধ্যমে কয়েকজনকে নিয়ে ক্লাবে আসেন। তার পোশাক দেখে ক্লাবের একজন সদস্য আপত্তি তোলেন। তাকে চলে যাওয়ার অনুরোধো করেন।

কিন্তু পরীমনি তার কথা না শোনায়, তিনি নিজেই চলে যান। পরীমনি যে সদস্যের মাধ্যমে এসেছিলেন তিনিও পরীমনিকে চলে যেতে বলেন। পরিমনী কথা না শোনায় এক পর্যায়ে ওই সদস্যও চলে যান।

আলমগীর ইকবাল বলেন, পরীমনি তখন চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে গ্লাস, ছাইদানী ছুড়ে মারতে থাকেন। পরীমনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ আসার পরও তিনি এগুলো ছুড়তে থাকেন। তখন ক্লাবের দু’জন ওয়েটার ছিল।

ছবি ফেসবুক  থেকে

এ সময় পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ শোনেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের অনুরোধে পরীমনি ও অন্যরা চলে যান। এরপর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, পরীমনি যে সদস্যের সঙ্গে ক্লাবে এসেছিলেন তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮ জুন পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাঁকে শারীরিক হেনস্তার ও হত্যার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত সোমবার ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এই নায়িকা। মামলার পর পুলিশ প্রধান দুই আসামিসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে।