ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামনে ঈদ প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০০ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। এই হিসাবে গত বছরের এপ্রিলের সময়ের তুলনায় এই বছরের এপ্রিলে প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, পবিত্র রমজানের ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবাসীরা গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এই বছরের এপ্রিলে ৩৯ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে মাসের বাকি দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।

প্রসঙ্গত, ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন।

এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে মাইলফলক রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একক মাসে এত রে‌মিট্যান্স আসেনি।

এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে। এছাড়া বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন,  এমন অনেক দেশ এখনও লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সামনে ঈদ প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৮:২৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০০ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। এই হিসাবে গত বছরের এপ্রিলের সময়ের তুলনায় এই বছরের এপ্রিলে প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, পবিত্র রমজানের ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবাসীরা গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এই বছরের এপ্রিলে ৩৯ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে মাসের বাকি দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।

প্রসঙ্গত, ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন।

এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে মাইলফলক রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একক মাসে এত রে‌মিট্যান্স আসেনি।

এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে। এছাড়া বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন,  এমন অনেক দেশ এখনও লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।