ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি’র অফিসে বসেই খুনের পরিকল্পনা

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ ১৭১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক এমপি এম এ আউয়াল

কিলার সুমন খুনের মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি আউয়লকে মোবাইল ফোনে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফিল্মী কায়দায় প্রকাশ্য রাজপথে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে সন্তানের সামনে কুপিয়ে  হত্যা করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে পান্ডা হিসেবে র‌্যাব যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) বলছে, হত্যার পরিকল্পনা  করেছিলেন, তার নিজের কলাবাগানের অফিসে বসেই।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

১৬ মে দুপুর নাগাদ ঢাকার পল্লবীতে সাহিনুদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে র‌্যাব।

খুনের মালায়  গ্রেপ্তারকৃত  সাবেক  এমপি আউয়াল ও অপর দুই আসামী

এ ঘটনায় ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসান নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে। পটুয়াখালীর বাউফল থেকে অপর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের অপর একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকান্ডের দিন পাঁচ আগে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে মোহাম্মদ তাহের ও সুমন এই হত্যার পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর সুমন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। এসময় বেশ কয়েকজন কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। ফিল্মী কায়দায় পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনার সমাপ্তি ঘটানো হয়। যার ডনের ভূমিকায় ছিলেন, সাবেক এমপি আউয়াল। সুমনসহ বাকিরা ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায়। এসময় সুমন এম এ আউয়লকে মোবাইলে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খুনের আগে সুমন, বাবুসহ কয়েকজন মিটিংয়ে মিলিত হয়। এরপর ঘটনার দিন কৌশলে তারা সাহিনুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। সাহিনুদ্দিন তার সন্তান মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যায়। মীমাংসার কথা বলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী সুমন, মানিক, হাসান, ইকবালসহ ১০/১২ জন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সাবেক এমপি’র অফিসে বসেই খুনের পরিকল্পনা

আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

সাবেক এমপি এম এ আউয়াল

কিলার সুমন খুনের মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি আউয়লকে মোবাইল ফোনে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফিল্মী কায়দায় প্রকাশ্য রাজপথে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে সন্তানের সামনে কুপিয়ে  হত্যা করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে পান্ডা হিসেবে র‌্যাব যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) বলছে, হত্যার পরিকল্পনা  করেছিলেন, তার নিজের কলাবাগানের অফিসে বসেই।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

১৬ মে দুপুর নাগাদ ঢাকার পল্লবীতে সাহিনুদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে র‌্যাব।

খুনের মালায়  গ্রেপ্তারকৃত  সাবেক  এমপি আউয়াল ও অপর দুই আসামী

এ ঘটনায় ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসান নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে। পটুয়াখালীর বাউফল থেকে অপর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের অপর একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকান্ডের দিন পাঁচ আগে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে মোহাম্মদ তাহের ও সুমন এই হত্যার পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর সুমন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। এসময় বেশ কয়েকজন কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। ফিল্মী কায়দায় পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনার সমাপ্তি ঘটানো হয়। যার ডনের ভূমিকায় ছিলেন, সাবেক এমপি আউয়াল। সুমনসহ বাকিরা ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায়। এসময় সুমন এম এ আউয়লকে মোবাইলে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খুনের আগে সুমন, বাবুসহ কয়েকজন মিটিংয়ে মিলিত হয়। এরপর ঘটনার দিন কৌশলে তারা সাহিনুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। সাহিনুদ্দিন তার সন্তান মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যায়। মীমাংসার কথা বলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী সুমন, মানিক, হাসান, ইকবালসহ ১০/১২ জন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে!