আরও ১৪দিন বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত

- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
ভারতের করোনা পরিস্থিতি বেহাল। এরই মধ্যে ভারতে চিকিৎসা শেষে ফিরে প্রায় ১৩ জনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এসব রোগীদের নজরে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত আরও ১৪ দিন বন্ধে থাকবে। শনিবার বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস সংবাদমাধ্যমকে সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন।
ভারতের করোনার নাজুক পরিস্থিতির কারণে ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য স্থলসীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের। এতে করে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি প্রায় হাজার দুয়েক নাগরিক আটকে পড়ে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু যে আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিলো, সেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তর মধ্য দিয়ে আশঙ্কা সত্যে প্রমাণিত হলো। স্থলপথে যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল চালু রয়েছে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথম দফার মতো এবারও বাংলাদেশের যে নাগরিকরা চিকিৎসা নিতে এখনও ভারতে রয়েছে, যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম শুধু তারাই বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশে ফিরতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে।
এরইমধ্যে সীমান্ত এলাকায় কোয়ারেন্টিন সুবিধার জায়গা সীমিত হয়ে পড়ায় ঈদের ছুটির আগে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা কড়াকড়ি মেনে চলছে।
এদিকে খোদ রাজধানী ঢাকায় এক নারী যার বয়স ৫৮ বছর তার নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এর আগে যশোরে প্রায় ১২জনের দেহে এই ধরণটি মিলেছে।
প্রথম দফায় ১০জনের করোনা শনাক্ত হলে, তাদের যশোর হাসপাতালে কভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সুযোগ বুঝে এসব রোগীরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তী তাদের খুঁজে বের করে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রশাসন।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্য জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিআইএআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাংবাদিক বৈঠক করে তা নিশ্চিত করেছেন। সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ছয়টি ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। দু’টি সরাসরি ডাবল মিউটেন্ট, বাকি চারটি কাছাকাছি।
এছাড়া, হাসপাতাল থেকে পালানো আটজনের মধ্য এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তারা যশোরে অবস্থান করছেন। বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। গেলো মাসের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।