ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন: ড. মোমেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন’র কথা জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেমমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারতের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ। একারণে টিকা পেতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে করোনার টিকা পেতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন ড. মোমেন।

দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় টিকা কূটনীতিতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সরকার। ভারত থেকে টিকা আসতে দেরি হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশ-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে টিকা উৎপাদনে সমঝোতা চুক্তিও সই হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে টিকা উৎপাদনের কাজ দেওয়া হবে।

কোম্পানিটি রাশিয়ার প্রযুক্তি নিয়ে টিকা উৎপাদন করবে। তবে টিকার ফর্মুলা গোপন রাখতে হবে। এছাড়া রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-৫ টিকা আমদানির বিষয়েও সরকারি তৎপর রয়েছে।

তারপর রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীনের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকা আনতে জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে সরকার।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাংলাদেশেও টিকা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভারত থেকে টিকা আসতে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশ বিকল্প ব্যবস্থায় হাঁটছে। চীন-রাশিয়া, গ্যাভি-কোভ্যাক্সের সঙ্গে টিকা আনতে তৎপরতা রয়েছে।

চীনের সিনোভ্যাক টিকা আনার বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এখনই চীনা টিকা পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে চীন। তারা জানিয়েছে, আগে থেকে যেসব দেশ সিনোভ্যাক টিকার জন্য বুকিং দিয়েছে, তাদের দেওয়ার পর বাংলাদেশ টিকা পাবে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জুনের পর চীন টিকা সরবরাহ করবে। তবে বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশকে ৫-৬ লাখ সিনোভ্যাক উপহার দেবে।

টিকার জন্য চীনের নেতৃত্বে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। ছয়টি দেশের এই প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’। টিকার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে আরও যোগ দিয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

টিকা সরবরাহের লক্ষ্যে বৈশ্বিক জোট গ্যাভি-কোভ্যাক্সের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। গ্যাভি-কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে আগামী মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ১ কোটি ৯ লাখ টিকা পাওয়ার কথা। এছাড়াও ফাইজারের টিকা আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ আরও ৩৩ লাখ টিকা পেয়েছে। তবে ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ টিকার চাহিদা বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশেও টিকা আসতে দেরি হচ্ছে।

ভারতের টিকার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানান, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের পাশেও যথাসাধ্যভাবে দাঁড়াতে চাই। তবে টিকার চাহিদা ব্যাপক, সেই অনুযায়ী সরবরাহ কম। আমাদের উৎপাদন সীমাবদ্ধতা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও অন্য দায়বদ্ধতাসাপেক্ষে সবার প্রয়োজন মেটাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

টিকা আনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়ার সঙ্গে টিকা আনার জন্য আলোচনা করছি। আমরা ইতোমধ্যেই টিকা উৎপাদনে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছি। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করা হবে। চীনের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন: ড. মোমেন

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন’র কথা জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেমমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারতের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ। একারণে টিকা পেতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে করোনার টিকা পেতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন ড. মোমেন।

দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় টিকা কূটনীতিতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সরকার। ভারত থেকে টিকা আসতে দেরি হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশ-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে টিকা উৎপাদনে সমঝোতা চুক্তিও সই হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে টিকা উৎপাদনের কাজ দেওয়া হবে।

কোম্পানিটি রাশিয়ার প্রযুক্তি নিয়ে টিকা উৎপাদন করবে। তবে টিকার ফর্মুলা গোপন রাখতে হবে। এছাড়া রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-৫ টিকা আমদানির বিষয়েও সরকারি তৎপর রয়েছে।

তারপর রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীনের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকা আনতে জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে সরকার।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাংলাদেশেও টিকা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভারত থেকে টিকা আসতে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশ বিকল্প ব্যবস্থায় হাঁটছে। চীন-রাশিয়া, গ্যাভি-কোভ্যাক্সের সঙ্গে টিকা আনতে তৎপরতা রয়েছে।

চীনের সিনোভ্যাক টিকা আনার বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এখনই চীনা টিকা পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে চীন। তারা জানিয়েছে, আগে থেকে যেসব দেশ সিনোভ্যাক টিকার জন্য বুকিং দিয়েছে, তাদের দেওয়ার পর বাংলাদেশ টিকা পাবে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জুনের পর চীন টিকা সরবরাহ করবে। তবে বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশকে ৫-৬ লাখ সিনোভ্যাক উপহার দেবে।

টিকার জন্য চীনের নেতৃত্বে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। ছয়টি দেশের এই প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’। টিকার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে আরও যোগ দিয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

টিকা সরবরাহের লক্ষ্যে বৈশ্বিক জোট গ্যাভি-কোভ্যাক্সের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। গ্যাভি-কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে আগামী মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ১ কোটি ৯ লাখ টিকা পাওয়ার কথা। এছাড়াও ফাইজারের টিকা আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ আরও ৩৩ লাখ টিকা পেয়েছে। তবে ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ টিকার চাহিদা বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশেও টিকা আসতে দেরি হচ্ছে।

ভারতের টিকার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানান, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের পাশেও যথাসাধ্যভাবে দাঁড়াতে চাই। তবে টিকার চাহিদা ব্যাপক, সেই অনুযায়ী সরবরাহ কম। আমাদের উৎপাদন সীমাবদ্ধতা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও অন্য দায়বদ্ধতাসাপেক্ষে সবার প্রয়োজন মেটাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

টিকা আনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়ার সঙ্গে টিকা আনার জন্য আলোচনা করছি। আমরা ইতোমধ্যেই টিকা উৎপাদনে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছি। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করা হবে। চীনের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।