গণপরিবহনের বাসভাড়া বাড়ল ৬০ শতাংশ
- আপডেট সময় : ১২:২১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭২ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
করোনার লাগামহীন সংক্রমণ রুখতে গণপরিবহন ও ট্রেনে আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বৃধবার থেকে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সকালে বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের জন্য এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এর আগেও কয়েক মাস ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিলো। করোনার সংক্রমণ কমে আসলে গণপরিবহনে পুরো আসনে যাত্রী বহনের নির্দেশ দেয়া হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠক করেন বাস মালিকরা। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। দুই মাস সেভাবে চলেছিল গণপরিবহন। তখনো বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন না করার নির্দেশনা রয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে হবে।
বিআরটিএ’র সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে বাস ও মিনিবাসে চালক, সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাসে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
ট্রেনে অর্ধেক টিকিট বিক্রির নির্দেশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি ও করোনার সংক্রমণরোধে অন্যান্য বিধি অনুসরণ করে ট্রেনে যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ রাখার কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, দেশে এক দিনে করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ৫ হাজার ১৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত বছরের ২ জুলাই করোনায় সংক্রমিত ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।এরপর এটিই সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।