লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী
বিষেশ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের তার নিজের চিন্তাভাবনা ও মতামত রয়েছে আর তা প্রকাশের অধিকারও রয়েছে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের মতামত নয়। ঘটনার ফ্যাক্টস বা সত্যতা খুঁজে বের করতে হয়। এই সত্যতা খোঁজার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো বই। আর এজন্য প্রয়োজন একটি তথ্যবহুল লাইব্রেরী। আমরা যতোটা পড়বো তাতে আমাদের সত্য অন্বেষণের ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে। এক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক সত্য এবং মতামত প্রকাশে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। সঠিক ইতিহাস জেনে নতুন ইতিহাস তৈরী করতে পারবেন।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরী উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ। করোনার কারণে দুই দেশের মধ্যে অনেক কার্যক্রমই থেমে রয়েছে। এখন যখন করোনা সংক্রমণ কমে আসছে। আমরা আশা করছি সেসব কার্যক্রম আবারও চালু হবে খুব দ্রুত।
কাজী নজরুল ইসলামের নামে লাইব্রেরীর নামকরণ করায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ্রে প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামীতে ডিআরইউ-এর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, লাইব্রেরীটি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন বইয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ভালো সাংবাদিক ও লেখক হতে হলে লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। সেখান থেকে আমরা একটি লাইব্রেরীর গুরুত্ব অনুধাবন করি এবং তা আজ বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি। আমরা আশা করি রিপোর্টারা এখানে তথ্যসমৃদ্ধ বই পড়ে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অত্রন্ত নান্দনিক লাইব্রেরীটি করতে সক্ষম হয়। এটি ছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল ভবন, মন্দির, মণিপুরী কালচারাল ভবন, জলকল ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। যার সুফলভোগী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক কামাল মোশারেফ। ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।