ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীরজ এবং যোগাসন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 ড: বিরাজলক্ষী ঘোষ

নারী জীবনের কৈশোর প্রাপ্তি থেকে প্রায় প্রৌঢ়ত্ব প্রাপ্তির সময় পর্যন্ত পিরিয়ড বা মাসিক রক্তস্রাব চলে।জীবনের এই দীর্ঘ সময়টিতে যদি সঠিক ভাবে এবং নিয়মিত পিরিয়ড হয় তবে নারীদেহ সুস্থ ও সবল থাকে।এর জন্য দরকার নিয়মিত যো আবার পিরিয়ডের বিভিন্ন সমস্যায় যোগাভ্যাস খুব ভালো ফল দেয়। অনেকেরই অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা,তলপেটে যন্ত্রণা,বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়। কারও দীর্ঘদিন পরপর, কারও আবার ঘনঘন পিরিয়ড হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তস্রাব, পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। নীচে কয়েকটি যোগাসন উল্লেখ করলাম যেগুলি সুস্থ ও স্বাভাবিক পিরিয়ডের জন্য অনুশীলন প্রয়োজন:

ধনুরাসন

যেভাবে করবেন: মাটিতে বা ম্যাটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটোকে হাঁটু থেকে মুড়ে পায়ের গোড়ালি নিতম্বের ওপরে রাখুন। দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। শ্বাস ভেতরে টেনে হাঁটু এবং ঊরু দুটো ওপরের দিকে তুলুন, হাত টান টান থাকবে। পেছনের অংশ ওঠার পরে পেটের ওপরের অংশ-বুক, গ্রীবা এবং মাথা ওপরের দিকে ওঠান। নাভি ও পেটের আশপাশের অংশ মাটির সঙ্গেই লেগে থাকবে, বাকি অংশ ওপরের দিকে উঠে থাকা উচিত। শরীরের আকৃতি টান টান হয়ে থাকা ধনুকের মতো হয়ে পড়বে। আসন থেকে ফেরার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

সময়কাল

প্রথম দিকে ১৫ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করুন। সামর্থ্য বাড়লে ৩০-৬০ সেকেন্ড করবেন। এভাবে ৪-৬ বার করুন।

উপকারিতা

নারীদের মাসিক বিকৃতিতে ফলপ্রসূ। কিডনি পুষ্ট করে তোলে। কোমর যন্ত্রণায় লাভদায়ক।

কন্ধরাসন
কন্ধরাসনকন্ধরাসন
যেভাবে করবেন

সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু মুড়ে পা দুটোকে নিতম্বের কাছে রাখুন। হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালির ওপরের অংশ ধরুন। শ্বাস টেনে কোমর এবং নিতম্বকে ওপরের দিকে ওঠান। কাঁধ, মাথা এবং গোড়ালি মাটির ওপরেই থাকবে। ফিরে আসার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে কোমর মাটির সঙ্গে ঠেকান।

সময়কাল

৩০-৬০ সেকেন্ড থাকুন। ৪-৬ বার আসনটি করুন।

উপকারিতা

গর্ভাশয়ের জন্য এ আসন অত্যন্ত ভালো। বন্ধ্যত্ব, মাসিক বিকৃতি, শ্বেত প্রদাহ দূর করে।

গোমুখাসন
গোমুখাসনগোমুখাসন
যেভাবে করবেন

দুই পা টান টান করে বসে বাঁ পা মুড়ে গোড়ালি নিতম্বের কাছে রাখুন অথবা গোড়ালির ওপরও বসতে পারেন। ডান পা বাঁ পায়ের ওপরে এমনভাবে রাখুন, যাতে দুটো হাঁটু পরস্পরকে স্পর্শ করে বা একই লাইনে থাকে। শ্বাস নিতে নিতে ডান হাতকে ওপরে তুলে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠের দিকে মুড়ুন এবং একই সঙ্গে বাঁ হাতকে পিঠের পেছনের দিক থেকে এনে ডান হাত ধরুন। ঘাড় এবং কোমর যেন সোজা থাকে। একদিক থেকে প্রায় এক মিনিট করার পর অন্যদিকে অর্থাৎ হাত–পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করে নিন। এভাবে মোট তিন সেট করুন।

উপকারিতা

স্ত্রীরোগে এ আসন উপকারী। সন্ধিবাত এবং গেঁটে বাতও দূর করে।

যদি কোনো কঠিন শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে পিরিয়ডের সময় হালকা ওয়ার্কআউট করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যা প্রমাণ করে যে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা ক্ষতিকারক হতে পারে তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিম্নলিখিত বিশেষ পাঁচটি সুবিধা রয়েছে যা আমরা যোগাসনের মারফৎ পিরিয়ডের সময় পেয়ে থাকি:

1.পিরিয়ডের ব্যথা কমায়: ব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে ব্যথা এবং মাসিকের বাধা কমাতে পারে। এটি এন্ডোমেট্রিয়াল আস্তরণের শেডিং প্রক্রিয়াটিকেও উন্নত করে এবং দ্রুত করে। আপনি ওয়ার্কআউটের পরে রক্তের সরল প্রবাহ লক্ষ্য করতে পারেন।গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যায়াম আপনার শরীরে বিটা-এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে যা অভ্যন্তরীণ ওপিওডের মতো কাজ করে ক্র্যাম্প এবং ব্যথা নিরাময় করে। এটিকে মানব মরফিনও বলা হয়। এইভাবে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করে অ্যানালজেসিয়া বা ব্যথা উপশম করা সম্ভব।এছাড়া প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন হল পিরিয়ডের সময় আপনার শরীরে নির্গত রাসায়নিক যা ক্র্যাম্প সৃষ্টি করে তারও উপশম করে। ওয়ার্কআউটের সময় আপনারএই লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করা দরকার এবং কমপক্ষে 30 মিনিটের জন্য সপ্তাহে তিনবার ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

2. PMS বা Pre Menstrual Syndrome – প্রতি মাসে পিরিয়ডের আগে লক্ষণগুলি বিরক্তিকর ব্যাপার হতে পারে। এটি মানসিক ব্যাঘাত, মেজাজের পরিবর্তন, এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে আপনার স্বাভাবিক জীবন এবং দৈনন্দিন রুটিনকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি বিরক্তি, ক্লান্তি এবং খাবারের অনাকাঙ্ক্ষাও অনুভব করতে পারেন।
যোগব্যায়াম এই সমস্যাগুলিতে সাহায্য করে । সাঁতার, হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো ইত্যাদির মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনাকে বিষণ্নতা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতিরিক্ত জল ধারণ এবং ফোলাভাবও কমায়, যা খুবই সাধারণ এবং বিরক্তিকর।

3.পিরিয়ডের অনিয়মিত চক্রটিকে পুনরায় চালু করে: আপনার যদি একটি অনিয়মিত চক্র থাকে এবং আপনি প্রায়শই আপনার , তবে যোগআসন ওয়ার্কআউটগুলি সাহায্য করতে পারে৷ পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম করা পিরিয়ড চক্রকে নিয়মিত করতে এবং আপনার পিরিয়ড ক্যালেন্ডারকে নির্দিষ্ট ছন্দে আনতে সাহায্য করে। এটি অর্জনের জন্য অ্যারোবিক ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

4.শারীরিক সাচ্ছন্দ্য: পিরিয়ডের সময় দুর্বল ভাব কাটিয়ে যোগ ব্যায়াম আপনাকে সারাদিন শক্তি জোগায়। তে আপনার কর্মক্ষেত্রে কোনো দিন অনুপস্থিত থাকতে হয়না এবং সারাদিনের কাজ গুলি আপনি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।যোগব্যায়াম আপনার শরীরের সমস্ত পেশীতে সঞ্চালন উন্নত করবে এবং তাদের অক্সিজেন এবং পুষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করবে। এটি পেশীগুলির আরও শক্তি নির্গত করার ক্ষমতা উন্নত করে। এই শক্তি আসে অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট নামক অণু থেকে।

5. মুড বুস্টার: স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা পিরিয়ডের সময় রক্তে বৃদ্ধি পায় পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা আপনার রক্তে কর্টিসলের মাত্রা কমাতে এবং আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার পিরিয়ড মুড যেমন অ্যাজিটেশন, ক্র্যাঙ্কিনেস এবং পিরিয়ড ব্লুজ নিয়ন্ত্রণ করবে।আপনার মন মেজাজ ভাল থাকবে এবং মুড সুইং থেকে মুক্তি পাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্ত্রীরজ এবং যোগাসন

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

 ড: বিরাজলক্ষী ঘোষ

নারী জীবনের কৈশোর প্রাপ্তি থেকে প্রায় প্রৌঢ়ত্ব প্রাপ্তির সময় পর্যন্ত পিরিয়ড বা মাসিক রক্তস্রাব চলে।জীবনের এই দীর্ঘ সময়টিতে যদি সঠিক ভাবে এবং নিয়মিত পিরিয়ড হয় তবে নারীদেহ সুস্থ ও সবল থাকে।এর জন্য দরকার নিয়মিত যো আবার পিরিয়ডের বিভিন্ন সমস্যায় যোগাভ্যাস খুব ভালো ফল দেয়। অনেকেরই অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা,তলপেটে যন্ত্রণা,বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়। কারও দীর্ঘদিন পরপর, কারও আবার ঘনঘন পিরিয়ড হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তস্রাব, পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। নীচে কয়েকটি যোগাসন উল্লেখ করলাম যেগুলি সুস্থ ও স্বাভাবিক পিরিয়ডের জন্য অনুশীলন প্রয়োজন:

ধনুরাসন

যেভাবে করবেন: মাটিতে বা ম্যাটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটোকে হাঁটু থেকে মুড়ে পায়ের গোড়ালি নিতম্বের ওপরে রাখুন। দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। শ্বাস ভেতরে টেনে হাঁটু এবং ঊরু দুটো ওপরের দিকে তুলুন, হাত টান টান থাকবে। পেছনের অংশ ওঠার পরে পেটের ওপরের অংশ-বুক, গ্রীবা এবং মাথা ওপরের দিকে ওঠান। নাভি ও পেটের আশপাশের অংশ মাটির সঙ্গেই লেগে থাকবে, বাকি অংশ ওপরের দিকে উঠে থাকা উচিত। শরীরের আকৃতি টান টান হয়ে থাকা ধনুকের মতো হয়ে পড়বে। আসন থেকে ফেরার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

সময়কাল

প্রথম দিকে ১৫ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করুন। সামর্থ্য বাড়লে ৩০-৬০ সেকেন্ড করবেন। এভাবে ৪-৬ বার করুন।

উপকারিতা

নারীদের মাসিক বিকৃতিতে ফলপ্রসূ। কিডনি পুষ্ট করে তোলে। কোমর যন্ত্রণায় লাভদায়ক।

কন্ধরাসন
কন্ধরাসনকন্ধরাসন
যেভাবে করবেন

সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু মুড়ে পা দুটোকে নিতম্বের কাছে রাখুন। হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালির ওপরের অংশ ধরুন। শ্বাস টেনে কোমর এবং নিতম্বকে ওপরের দিকে ওঠান। কাঁধ, মাথা এবং গোড়ালি মাটির ওপরেই থাকবে। ফিরে আসার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে কোমর মাটির সঙ্গে ঠেকান।

সময়কাল

৩০-৬০ সেকেন্ড থাকুন। ৪-৬ বার আসনটি করুন।

উপকারিতা

গর্ভাশয়ের জন্য এ আসন অত্যন্ত ভালো। বন্ধ্যত্ব, মাসিক বিকৃতি, শ্বেত প্রদাহ দূর করে।

গোমুখাসন
গোমুখাসনগোমুখাসন
যেভাবে করবেন

দুই পা টান টান করে বসে বাঁ পা মুড়ে গোড়ালি নিতম্বের কাছে রাখুন অথবা গোড়ালির ওপরও বসতে পারেন। ডান পা বাঁ পায়ের ওপরে এমনভাবে রাখুন, যাতে দুটো হাঁটু পরস্পরকে স্পর্শ করে বা একই লাইনে থাকে। শ্বাস নিতে নিতে ডান হাতকে ওপরে তুলে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠের দিকে মুড়ুন এবং একই সঙ্গে বাঁ হাতকে পিঠের পেছনের দিক থেকে এনে ডান হাত ধরুন। ঘাড় এবং কোমর যেন সোজা থাকে। একদিক থেকে প্রায় এক মিনিট করার পর অন্যদিকে অর্থাৎ হাত–পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করে নিন। এভাবে মোট তিন সেট করুন।

উপকারিতা

স্ত্রীরোগে এ আসন উপকারী। সন্ধিবাত এবং গেঁটে বাতও দূর করে।

যদি কোনো কঠিন শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে পিরিয়ডের সময় হালকা ওয়ার্কআউট করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যা প্রমাণ করে যে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা ক্ষতিকারক হতে পারে তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিম্নলিখিত বিশেষ পাঁচটি সুবিধা রয়েছে যা আমরা যোগাসনের মারফৎ পিরিয়ডের সময় পেয়ে থাকি:

1.পিরিয়ডের ব্যথা কমায়: ব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে ব্যথা এবং মাসিকের বাধা কমাতে পারে। এটি এন্ডোমেট্রিয়াল আস্তরণের শেডিং প্রক্রিয়াটিকেও উন্নত করে এবং দ্রুত করে। আপনি ওয়ার্কআউটের পরে রক্তের সরল প্রবাহ লক্ষ্য করতে পারেন।গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যায়াম আপনার শরীরে বিটা-এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে যা অভ্যন্তরীণ ওপিওডের মতো কাজ করে ক্র্যাম্প এবং ব্যথা নিরাময় করে। এটিকে মানব মরফিনও বলা হয়। এইভাবে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করে অ্যানালজেসিয়া বা ব্যথা উপশম করা সম্ভব।এছাড়া প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন হল পিরিয়ডের সময় আপনার শরীরে নির্গত রাসায়নিক যা ক্র্যাম্প সৃষ্টি করে তারও উপশম করে। ওয়ার্কআউটের সময় আপনারএই লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করা দরকার এবং কমপক্ষে 30 মিনিটের জন্য সপ্তাহে তিনবার ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

2. PMS বা Pre Menstrual Syndrome – প্রতি মাসে পিরিয়ডের আগে লক্ষণগুলি বিরক্তিকর ব্যাপার হতে পারে। এটি মানসিক ব্যাঘাত, মেজাজের পরিবর্তন, এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে আপনার স্বাভাবিক জীবন এবং দৈনন্দিন রুটিনকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি বিরক্তি, ক্লান্তি এবং খাবারের অনাকাঙ্ক্ষাও অনুভব করতে পারেন।
যোগব্যায়াম এই সমস্যাগুলিতে সাহায্য করে । সাঁতার, হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো ইত্যাদির মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনাকে বিষণ্নতা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতিরিক্ত জল ধারণ এবং ফোলাভাবও কমায়, যা খুবই সাধারণ এবং বিরক্তিকর।

3.পিরিয়ডের অনিয়মিত চক্রটিকে পুনরায় চালু করে: আপনার যদি একটি অনিয়মিত চক্র থাকে এবং আপনি প্রায়শই আপনার , তবে যোগআসন ওয়ার্কআউটগুলি সাহায্য করতে পারে৷ পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম করা পিরিয়ড চক্রকে নিয়মিত করতে এবং আপনার পিরিয়ড ক্যালেন্ডারকে নির্দিষ্ট ছন্দে আনতে সাহায্য করে। এটি অর্জনের জন্য অ্যারোবিক ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

4.শারীরিক সাচ্ছন্দ্য: পিরিয়ডের সময় দুর্বল ভাব কাটিয়ে যোগ ব্যায়াম আপনাকে সারাদিন শক্তি জোগায়। তে আপনার কর্মক্ষেত্রে কোনো দিন অনুপস্থিত থাকতে হয়না এবং সারাদিনের কাজ গুলি আপনি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।যোগব্যায়াম আপনার শরীরের সমস্ত পেশীতে সঞ্চালন উন্নত করবে এবং তাদের অক্সিজেন এবং পুষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করবে। এটি পেশীগুলির আরও শক্তি নির্গত করার ক্ষমতা উন্নত করে। এই শক্তি আসে অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট নামক অণু থেকে।

5. মুড বুস্টার: স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা পিরিয়ডের সময় রক্তে বৃদ্ধি পায় পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা আপনার রক্তে কর্টিসলের মাত্রা কমাতে এবং আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার পিরিয়ড মুড যেমন অ্যাজিটেশন, ক্র্যাঙ্কিনেস এবং পিরিয়ড ব্লুজ নিয়ন্ত্রণ করবে।আপনার মন মেজাজ ভাল থাকবে এবং মুড সুইং থেকে মুক্তি পাবেন।