ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ জাতীয় কমিটির

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এসময় উল্লেখ করেন, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ৬ সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল। দিল্লিতে ৩ সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতো, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যু কমে এসেছে।

করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষায় বাংলাদেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করে জাতীয় কমিটি উদাহরণ টেনে বলেছে, এসময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট, গণপরিবহনসহ সব বন্ধ থাকবে। সবাই বাসায় থাকবেন।

এসব তথ্য জানিয়ে কমিটি প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, জরুরি সেবা বলতে ওষুধ, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম ছাড়া সবকিছু দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। জীবন রক্ষায় আগামীর মঙ্গলের জন্য এই স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এক সংবাদ বার্তায় এসব তথ্য জানান।

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এসময় উল্লেখ করেন, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ৬ সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল। দিল্লিতে ৩ সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতো, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যু কমে এসেছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে পূর্ণ মুক্তি পেতে ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এরই মধ্যে ডেল্টা ধরনের ভাইরাসটি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার আক্রান্তর ৮০ শতাংশই হচ্ছে ডেল্টা ধরণ!

এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশের অধিক জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ।

অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর লকডাউন ছাড়া বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যে সব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রযোগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ জাতীয় কমিটির

আপডেট সময় : ১০:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এসময় উল্লেখ করেন, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ৬ সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল। দিল্লিতে ৩ সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতো, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যু কমে এসেছে।

করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষায় বাংলাদেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করে জাতীয় কমিটি উদাহরণ টেনে বলেছে, এসময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট, গণপরিবহনসহ সব বন্ধ থাকবে। সবাই বাসায় থাকবেন।

এসব তথ্য জানিয়ে কমিটি প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, জরুরি সেবা বলতে ওষুধ, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম ছাড়া সবকিছু দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। জীবন রক্ষায় আগামীর মঙ্গলের জন্য এই স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এক সংবাদ বার্তায় এসব তথ্য জানান।

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এসময় উল্লেখ করেন, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ৬ সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল। দিল্লিতে ৩ সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতো, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যু কমে এসেছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে পূর্ণ মুক্তি পেতে ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এরই মধ্যে ডেল্টা ধরনের ভাইরাসটি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার আক্রান্তর ৮০ শতাংশই হচ্ছে ডেল্টা ধরণ!

এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশের অধিক জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ।

অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর লকডাউন ছাড়া বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যে সব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রযোগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।