সেনাপ্রধানকে হেয় করা মানে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করা
- আপডেট সময় : ০৩:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সেনাপ্রধানকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে আর্মি এভিয়েশনের বেসিক কোর্সের অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, আপনারা প্রশ্ন করেছেন বারবার কেন আমাকে টার্গেট করা হয়। আমার মনে হয় সেটা দায়িত্ব আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আপনারাই বুঝে নেন, খুঁজে নেন। কেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানকে টার্গেট করা হচ্ছে। কারণ এই সেনাপ্রধানকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। সেনাপ্রধানকে হেয়প্রতিপন্ন করা মানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করা। আপনাদের এই জিনিসটা বুঝতে হবে।
নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন আছেন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আমি সম্পূর্ণভাবে সচেতন যে আমার কারণে যদি কখনো আমার ইনস্টিটিউশন, অর্গানাইজেশন যেটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আমাদের সরকার যাতে কোনোভাবে বিব্রত না হয়, বিতর্কিত না হয় আমি সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন। যা কিছু আপনারা শুনছেন, এগুলোর কোনো প্রমাণ- এগুলো হয়তো তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটপিস, অন্যান্য জিনিস সন্নিবেশিত করে তারা এগুলো করতেই পারবে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। সেটা আপনারা আপনাদের কলমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাদের জবাব দিয়েছেন। সে জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রতিবেদনের সঙ্গে বাংলাদেশের যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আজিজ বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করার হয়তো থাকবে না। আমি নিশ্চিত সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থা যারা আছে তারা হয়তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
জেনারেল আজিজ বলেন, আমাদের চেইন অব কমান্ডে যারা আছে এ ব্যাপারে আমরা সবাই সর্তক আছি। আমি আশ্বাস দিতে চাই আপনাদের- এই ধরনের অপপ্রচার সেনাবাহিনীতে বিন্দুমাত্র আঁচ আনতে পারবে না আমাদের চেইন অব কমান্ডে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুগত। বাংলাদেশ সরকারের, বর্তমান সরকারের যেকোনো আদেশ নির্দেশ পালনে সদা প্রস্তুত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ হোক, বহির্বিশ্বের হোক, যেকোনো সমস্যা মোকাবিলার জন্য আমরা সাংবিধানিকভাবে শপথবদ্ধ। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
অপপ্রচার সেনা সদস্যরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, যে ধরনের অপচেষ্টাগুলো হচ্ছে, এগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠান, যেটা হলো জাতির গর্ব, দেশের গর্ব সেই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তারা নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আপনাদের আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই-সেনাবাহিনী একটি অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং ওয়েল মোটিভেটেড ফোর্স; আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংহত। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড অত্যন্ত ইফেক্টিভ এবং সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য ঘৃণাভরে এ ধরনের অপচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে অতীতে, এখনো করছে। বর্তমানে যা আছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।