ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সীমিত পরিসরে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১ ২১০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এমন ঘটনার আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে তাই। সার্বজনিন থাকলো না মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলার চারদেয়ালের মধ্যেই থাকলো সীমিত পরিসরে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে স্থান পায় চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক। যার নেতৃত্বে ছিলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন।

নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ সালটি গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।

চারুকলা অনুষদের সদর দরজায় তালা : সিংগৃহিত

কভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভূক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি আগামীতে বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সীমিত পরিসরে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

আপডেট সময় : ১২:১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এমন ঘটনার আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে তাই। সার্বজনিন থাকলো না মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলার চারদেয়ালের মধ্যেই থাকলো সীমিত পরিসরে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে স্থান পায় চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক। যার নেতৃত্বে ছিলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন।

নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ সালটি গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।

চারুকলা অনুষদের সদর দরজায় তালা : সিংগৃহিত

কভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভূক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি আগামীতে বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো।