প্রবীণের অভিজ্ঞতা, নতুনদের ভয়হীনতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই: হাসনাত

- আপডেট সময় : ০৯:২৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নাগরিক কমিটির চুয়াডাঙ্গার রাইজিং সভার মঞ্চ থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ডাক দিয়ে বলেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে চারদিকে। রবিবারও ঢাকায় ষড়যন্ত্র হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিভক্তিতে কাদের লাভ? ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লাভ। আমরা যখন বিভক্ত হব, তখন তাদের পুনর্বাসনের দরজহা খুলে যাবে। সুতরাং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকে ঠেকাতে, ছাত্রলীগের পুনর্বাসনকে ঠেকাতে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রবীণেরা আমাদের যে বাংলাদেশ দিতে পারেন নাই, একাত্তর-পরবর্তী সময়ে, নব্বই-পরবর্তী সময়ে যে বাংলাদেশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, আমরা সেই বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা এবং নতুনদের ভয়হীনতার মিথস্ক্রিয়ায় চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে হাসনাত বলেন, তাদের মতামত হচ্ছে, আন্দোলন হয়েছে, সফল হয়েছে, তোমরা ঘরে ফিরে যাও। ক্ষমতা আমরা একাই নেব। আমরা বলতে চাই, দয়া করে ক্ষমতামুখী হইয়েন না। ক্ষমতামুখী যারা হয়েছে তাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। ক্ষমতামুখী না হয়ে আপনারা জনতামুখী হন। আপনারা যতক্ষণ পর্যন্ত জনতামুখী হবেন, তরুণ প্রজন্ম আপনাদের সঙ্গ দেবে।
সোমবার চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক কমিটি চুয়াডাঙ্গা রাইজিং সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যুক্ত হয়ে একথা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, আওয়ামী পলিটিক্যালি ফাংশন করবে কি করবে না, এ আলাপ-আলোচনা অনেক পরে। আগে খুনি হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালের বিচার করতে হবে।
যারা বাক্স্বাধীনতা হরণ-জুলুম কায়েম করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। আগে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তারপর আলোচনা আসবে আওয়ামী লীগ কমিটি ফাংশন করবে কি করবে না। বিচারের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাই না। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসবে কি আসবে না, সেই আলাপ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলুন।
বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন নাই উল্লেখ কওে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভোট দিতে পারেন নাই বললে ভুল হবে, ভোট যাঁরা দিয়েছেন, ৩০-৪০টা করে দিয়েছেন। আবার যাঁরা দিতে পারেন নাই, একটাও দিতে পারেন নাই। দিনের ভোট রাতে করার রূপকার হিসেবে খুনি শেখ হাসিনার নাম ইতিহাসে সব সময় থাকবে।
আমাদের কাছে খবর আছে, গত তিনটি নির্বাচনে খুনি শেখ হাসিনার সঙ্গে কারা আপস করেছেন। খুনি শেখ হাসিনার সঙ্গে কার কার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। সুতরাং আপনারা যাঁরা আওয়ামী লীগের বিচার বাদ দিয়ে পুনর্বাসনের চিন্তা করছেন, তাঁরা তরুণ প্রজন্মের বিরুদ্ধে দালালি করছেন।