ঢাকায় আমনা বালুচের সফল বৈঠক, এ মাসে আসছে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন : ছবি সংগ্রহ
ঢাকার সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হবার কথা জানালেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। পাকিস্তানের এই সফল বৈঠক হবার পর জানা গেলো, চলতি মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফর আসবেন। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রীর প্রথম সফর।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিলেন দুদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ছিলেন বেশ উৎফুল।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, দু’দেশের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পাকিস্তানের বিদেশ সচিব আমনা বালুচ স্ব স্ব দেশের নেতৃত্ব দেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রউপদেষ্টার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান আমনা বাচুল। এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার ঢাকায় পৌঁছান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের অর্থনৈতিক কমিশনের সবশেষ বৈঠক হয়েছিলো ২০০৫ সালে। দীর্ঘ সময় পর দুই দেশের মধ্যে এমন আলোচনাকে ইতিবাচক অবস্থান থেকে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দুই দেশকেই মনোযোগী হতে হবে।
এছাড়া আলোচনায় একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক শাহাব এনাম বলেন, পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর দেশের জন্য ইতিবাচক। অর্থনীতিকে যেহেতু আমরা গতিশীল করতে চাচ্ছি, তাই এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধসহ তাদের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা দরকার। ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
ফ্লাইট চালু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানি নিয়েও বাড়বে। বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে পাকিস্তানে। বিদেশ উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক শেষে আমনা বালুচ বলেন, ঢাকায় এসে আমি খুশি। আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে। বাংলাদেশের খাবার, এখানে শপিং খুব ভালো হয়েছে।