black egg : পাতিহাঁসের কালো ডিম!
- আপডেট সময় : ০৮:১৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ ৬০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণজনপদের পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে ক্লোজার বাজার এলাকায় একটি পাতিহাঁস তিনটি কালো ডিম পেড়েছে। স্থানীয় গৃহবধূ লাইজু আক্তার দীর্ঘদিন ধরে পোষা ১০টি পাতিহাঁনের একটি তিন দিনে তিনটি কালো ডিম পেড়েছে। দেশি পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ তা দেখার জন্য লাইজু আক্তারের বাড়িতে ভিড় জমান।
লাইজু আক্তারদের প্রতিবেশী নিজাম হাওলাদার বলেন, হাঁসটি গত তিন দিনে তিনটি কালো ডিম পেড়েছে। আমরা এমন ডিম আগে কখনো দেখিনি। লাইজু আক্তার জানান, তিনি তার হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবারই খেতে দেন। তারপরও কেন কালো ডিম পেড়েছে, তা বুঝতে পারছি না। তবে ডিমের স্বাদে কোন তারতম্য নেই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সজল কুমার দাশ বিষয়টিকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে বলেন, হাঁসটি কালো ডিম পাড়ার কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত এটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিতে হবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান বলেন, প্রাণিদেহের রক্তকণিকা ভেঙে বিলিভারডিন নামে একটি উপাদান বের হয়। এটা কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে।
সেই সঙ্গে জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে তাতে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। এ ধরনের কালো ডিম হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে খুবই ব্যতিক্রম।
ডিমের খোলস সাধারণত তৈরি হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেটের মাধ্যমে। ডিমের খোলস সাধারণভাবে সাদা হলেও প্রায়ই হালকা সবুজ, নীলচে আভা ও হালকা গোলাপি রঙের ডিম চোখে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রঙের এই পরিবর্তনের পেছনে দুটি জৈব উপাদান ভূমিকা রাখে।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভোলার চরফ্যাশনেও পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছিল। তবে হাঁসের ডিম যে একেবারেই কালো রঙের হয় না, তা কিন্তু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের কায়োগা জাতের হাঁসের ডিম সাধারণত কালো হয়ে থাকে।