ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিনিধি
তার নমুনাতেই পাওয়া গেলো নিষিদ্ধঘোষিত ক্লোমিফিন। গেল ৪ মার্চ মূত্র (ইউরিন) নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। খেলার জগতে বহুল পরিচিত ‘ডোপ টেস্ট’। কোন খেলোয়ারের ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে। এবারে বাংলাদেশি ক্রিকেটার শহীদুল ইসলামকে সকল ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বলছে, ডোপিং বিরোধী কোডের ২.১ নম্বর ধারা ভেঙেছেন এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
আইসিসির দেওয়া দন্ড মেনে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী শহীদুল। গত ২৮ মে স্বেচ্ছায় অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার জন্য রাজি হন তিনি। তার নিষেধাজ্ঞার দিন গনণা শুরু হয় সেদিন থেকেই। ফলে আগামী বছরের ২৮ মার্চ ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, এর আগে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ২০২০ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশি অপর ক্রিকেটার অনিক ইসলাম দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন । আইসিসি বলছে, শহীদুল ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ সেবন করেননি। অন্য একটি অসুখের কারণে বৈধভাবে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একটি ওষুধ সেবন করেন শহীদুল। তবে সেটিতে ছিল ক্লোমিফিন। পুরো ব্যাপারটিতে শহীদুলের দিক থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ‘অবহেলা বা দোষ’ খুঁজে পায়নি আইসিসি। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি এমন করেননি, এ ব্যাপারেও আইসিসিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে শহীদুল।