ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে মঞ্চস্থ গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার লালমনি ৭১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ ৩১৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধারাবাহিকভাবে ৬৪ জেলায় নির্মিত ও মঞ্চায়িত হচ্ছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকির ভাবনা ও পরিকল্পনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যপী ৬৪ জেলায় নির্মিত ও মঞ্চায়িত হচ্ছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার। শনিবার লালমনিরহাট এম.টি. হোসাইন ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে মঞ্চস্থ হয়েছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার

লালমনি ৭১। রচনা শ্রাবণী প্রামানিক এবং পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সম্রাট প্রামানিক, পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, লালমনিরহাট। নাটকে অভিনয় করেন লালমনিরহাটের স্থানীয় অভিনয় শিল্পীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. আবু জাফর’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, নাট্যজন

লিয়াকত আলী লাকি। লালমনিরহাট ১ সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট’র পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, বিপিএম পিপিএম, লালমনিরহাট সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা সংস্থা’র চেয়ারম্যান এড. সাফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট’র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট

পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট’র বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক, লালমনিরহাট’র সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মেজবাহ উদ্দিন। লালমনিরহাটের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ভূমি। বিহারী অধ্যুষিত এ রেলঅঞ্চলের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে আছে গণহত্যার

ইতিহাস। তিস্তা থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত বিস্তৃত অগণন গণকবর । লাল নুড়ি পাথরের ভূমির মায়া আঁকড়ে বেঁচে থাকা শহীদ পরিবারের বর্তমান ও সেই সময়কার স্মৃতিকথা, বীরাঙ্গনাদের নিজমুখে বর্ণিত তাদের আত্মসম্মান বিপর্যয়ের কথা এই ‘লালমনি ৭১’ এর ঘটনাক্রমে প্রত্যক্ষভাবে

বিরাজমান। লালমনিহাটে বৃহৎ গণহত্যাগুলো সংঘটিত হয় একাত্তরের এপ্রিলের ৪, ৫ ও ৬ তারিখে। উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের গণহত্যা দিবস ৫ এপ্রিল। এরপর এর মাত্রা কমে যায়, থেমে যায় না। মূলত ৮ মার্চের পর থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত নাট্যঘটনার কেন্দ্রস্থান এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর (লালমনিরহাট মুক্ত দিবস) পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে লালমনি ৭১ নাটকের ঘটনার বিস্তৃতি।

একাত্তরের গণহত্যা, গণনির্যাতন, গণধর্ষণের এক মহান করুণ আখ্যান আমরা শুধু ইতিহাসের এই আখ্যানের সঠিক পাঠ উন্মোচন করতে চেয়েছি আমাদের নাট্যপ্রয়াসে। দেশ জুড়ে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নির্মাণ তথা স্বাধীনতার ইতিহাসের এই পুনঃউপস্থাপন আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একসুত্রে গেঁথে রাখবে বলে বিশ্বাস। বলেন নির্দেশক সম্রাট প্রামানিক।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় লিয়াকত আলী লাকি বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিবেশনাধর্মী শিল্পের অন্যতম জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুবর্ণবর্ষে একাডেমির একটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ৬৪ জেলায় গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে মঞ্চস্থ গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার লালমনি ৭১

আপডেট সময় : ০৫:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

ধারাবাহিকভাবে ৬৪ জেলায় নির্মিত ও মঞ্চায়িত হচ্ছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকির ভাবনা ও পরিকল্পনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যপী ৬৪ জেলায় নির্মিত ও মঞ্চায়িত হচ্ছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার। শনিবার লালমনিরহাট এম.টি. হোসাইন ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে মঞ্চস্থ হয়েছে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার

লালমনি ৭১। রচনা শ্রাবণী প্রামানিক এবং পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সম্রাট প্রামানিক, পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, লালমনিরহাট। নাটকে অভিনয় করেন লালমনিরহাটের স্থানীয় অভিনয় শিল্পীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. আবু জাফর’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, নাট্যজন

লিয়াকত আলী লাকি। লালমনিরহাট ১ সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট’র পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, বিপিএম পিপিএম, লালমনিরহাট সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা সংস্থা’র চেয়ারম্যান এড. সাফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট’র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট

পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট’র বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক, লালমনিরহাট’র সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মেজবাহ উদ্দিন। লালমনিরহাটের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ভূমি। বিহারী অধ্যুষিত এ রেলঅঞ্চলের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে আছে গণহত্যার

ইতিহাস। তিস্তা থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত বিস্তৃত অগণন গণকবর । লাল নুড়ি পাথরের ভূমির মায়া আঁকড়ে বেঁচে থাকা শহীদ পরিবারের বর্তমান ও সেই সময়কার স্মৃতিকথা, বীরাঙ্গনাদের নিজমুখে বর্ণিত তাদের আত্মসম্মান বিপর্যয়ের কথা এই ‘লালমনি ৭১’ এর ঘটনাক্রমে প্রত্যক্ষভাবে

বিরাজমান। লালমনিহাটে বৃহৎ গণহত্যাগুলো সংঘটিত হয় একাত্তরের এপ্রিলের ৪, ৫ ও ৬ তারিখে। উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের গণহত্যা দিবস ৫ এপ্রিল। এরপর এর মাত্রা কমে যায়, থেমে যায় না। মূলত ৮ মার্চের পর থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত নাট্যঘটনার কেন্দ্রস্থান এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর (লালমনিরহাট মুক্ত দিবস) পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে লালমনি ৭১ নাটকের ঘটনার বিস্তৃতি।

একাত্তরের গণহত্যা, গণনির্যাতন, গণধর্ষণের এক মহান করুণ আখ্যান আমরা শুধু ইতিহাসের এই আখ্যানের সঠিক পাঠ উন্মোচন করতে চেয়েছি আমাদের নাট্যপ্রয়াসে। দেশ জুড়ে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নির্মাণ তথা স্বাধীনতার ইতিহাসের এই পুনঃউপস্থাপন আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একসুত্রে গেঁথে রাখবে বলে বিশ্বাস। বলেন নির্দেশক সম্রাট প্রামানিক।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় লিয়াকত আলী লাকি বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিবেশনাধর্মী শিল্পের অন্যতম জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুবর্ণবর্ষে একাডেমির একটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ৬৪ জেলায় গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী।