ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৮০% ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, শুরু গোষ্ঠী সংক্রমণ

ঋদ্ধিমান, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা নামক ভয়ঙ্কর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। এটি গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটিয়ে এরই মধ্যে ৮০ শতাংশে পৌছে গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আরও একটি অজানা ভাইরাস।

দেশটির রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে। গবেষণায় এই তথ্য ওঠে এসেছে।

বাংলাদেশে ৮ মে প্রথম ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই ধরনটি ভয়ঙ্কর বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণও পাওয়া গেছে গবেষণায়। পাশাপাশি অজানা একটি ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ ও পিরোজপুর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫টি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি নমুনার সবগুলোর মধ্যেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। খুলনা থেকে সংগ্রহ করা তিনটি নমুনাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এবং ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা চারটি নমুনার মধ্যে দুটি ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন জানিয়েছেন, কমিউনিটিতে ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংক্রমণ কমিয়ে আনতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

 

গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। এটি করোনাভাইরাসের আগের ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভেরিয়েন্টটিকে ‘উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের সীমান্তবর্তী জেলার মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরা ও খুলনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসবস্থানে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছে ১৬জন। যার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ জন, রাজশাহী ৫ জন ও নওগাঁর ১ জন। নতুন করে আরও ৩২জন ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২২৫ জন। অপর ১২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশে যাননি এবং বিদেশ থেকে আগত রোগীর সংষ্পর্শে আসার কোনো তথ্যও পাওয়া মিলেনি। এ কারণে গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ বিদ্যমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৮০% ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, শুরু গোষ্ঠী সংক্রমণ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা নামক ভয়ঙ্কর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। এটি গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটিয়ে এরই মধ্যে ৮০ শতাংশে পৌছে গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আরও একটি অজানা ভাইরাস।

দেশটির রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে। গবেষণায় এই তথ্য ওঠে এসেছে।

বাংলাদেশে ৮ মে প্রথম ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই ধরনটি ভয়ঙ্কর বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণও পাওয়া গেছে গবেষণায়। পাশাপাশি অজানা একটি ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ ও পিরোজপুর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫টি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি নমুনার সবগুলোর মধ্যেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। খুলনা থেকে সংগ্রহ করা তিনটি নমুনাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এবং ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা চারটি নমুনার মধ্যে দুটি ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন জানিয়েছেন, কমিউনিটিতে ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংক্রমণ কমিয়ে আনতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

 

গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। এটি করোনাভাইরাসের আগের ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভেরিয়েন্টটিকে ‘উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের সীমান্তবর্তী জেলার মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরা ও খুলনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসবস্থানে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছে ১৬জন। যার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ জন, রাজশাহী ৫ জন ও নওগাঁর ১ জন। নতুন করে আরও ৩২জন ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২২৫ জন। অপর ১২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশে যাননি এবং বিদেশ থেকে আগত রোগীর সংষ্পর্শে আসার কোনো তথ্যও পাওয়া মিলেনি। এ কারণে গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ বিদ্যমান।