ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘন্টায় ৬বার ভূমিকম্প : ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট বন্ধ ঘোষণা

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট নগরীতে হেলা ভবন পরিদর্শনে সিটি মেয়র আরিফুর রহমান চৌধুরী : ছবি সংগৃহিত

২৪ ঘন্টায় ৬ বার ভুমিকম্প প্রায় ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। হেলে পড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুর রহমান চৌধুরী।

রবিবার ভোরে ফের কেঁপে উঠে সিলেট নগরী। শনিবার কয়েক দফা ও রবিবার ভোরে নগরীতে ভূমিকম্প অনুভূত হলে সিলেটে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে অসমের ডাউকি ফল্ট হচ্ছে ভূমিকম্পর উৎপত্তিস্থল।

আর সেখান থেকে সিলেট নগরীর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে সঙ্গী করে সিটি কর্পোরেশন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন ও বন্দরবাজারের সিটি সুপার এবং মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে চিহ্নিত করে এসব ভবন ও মার্কেট ১০ দিন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয় কর্পোরেশন।

মেয়রের নির্দেশনার পর এবিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে বসেছেন মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, রবিবার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তা এলাকা। এর আগে শনিবার একই উৎপত্তিস্থল থেকে ৫ বার সর্বোচ্চ ৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এখানে বার বার ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট বিভাগ জুড়ে।

মেয়র আরিফুল বলেন, ভূ-বিষেষজ্ঞদের মতে এক সঙ্গে কয়েকবার ছোট ভূ কম্পনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। তাই বাড়তি সতকর্তার অংশ হিসেবে তালিকাভূক্ত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলো ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ এসব ভবনের তালিকায় মার্কেট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পুরাতন সরকারি দপ্তরও রয়েছে।

মেয়র বলেন, ২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় এখানকার ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিটি কর্পোরেশন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলো খালি করেননি বা এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। তাই এবার এসব ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সিটি কর্পোরেশন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৪ ঘন্টায় ৬বার ভূমিকম্প : ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট বন্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

সিলেট নগরীতে হেলা ভবন পরিদর্শনে সিটি মেয়র আরিফুর রহমান চৌধুরী : ছবি সংগৃহিত

২৪ ঘন্টায় ৬ বার ভুমিকম্প প্রায় ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। হেলে পড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুর রহমান চৌধুরী।

রবিবার ভোরে ফের কেঁপে উঠে সিলেট নগরী। শনিবার কয়েক দফা ও রবিবার ভোরে নগরীতে ভূমিকম্প অনুভূত হলে সিলেটে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে অসমের ডাউকি ফল্ট হচ্ছে ভূমিকম্পর উৎপত্তিস্থল।

আর সেখান থেকে সিলেট নগরীর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে সঙ্গী করে সিটি কর্পোরেশন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন ও বন্দরবাজারের সিটি সুপার এবং মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে চিহ্নিত করে এসব ভবন ও মার্কেট ১০ দিন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয় কর্পোরেশন।

মেয়রের নির্দেশনার পর এবিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে বসেছেন মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, রবিবার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তা এলাকা। এর আগে শনিবার একই উৎপত্তিস্থল থেকে ৫ বার সর্বোচ্চ ৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এখানে বার বার ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট বিভাগ জুড়ে।

মেয়র আরিফুল বলেন, ভূ-বিষেষজ্ঞদের মতে এক সঙ্গে কয়েকবার ছোট ভূ কম্পনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। তাই বাড়তি সতকর্তার অংশ হিসেবে তালিকাভূক্ত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলো ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ এসব ভবনের তালিকায় মার্কেট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পুরাতন সরকারি দপ্তরও রয়েছে।

মেয়র বলেন, ২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় এখানকার ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিটি কর্পোরেশন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলো খালি করেননি বা এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। তাই এবার এসব ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সিটি কর্পোরেশন।