হৈ হুল্লোড় করে ট্রেন-জলযানের ছাদে চেপে নেচে গেয়ে বাড়ি ফেরার দিন অতীত

- আপডেট সময় : ১০:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হৈ হুল্লোড় করে ট্রেন বা বিশাল জলযানের ছাদে চেপে নাচেগেয়ে বাড়ি ফেরার দিন অতীত। কভিড খেয়ে নিয়েছে বাঙালি তথা দুনিয়ার মানুষের নানা উৎসব-পার্বণের আনন্দ।
প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজশাসন জারি করেছে অজেনা কভিড। অদেখা-অজেনা জীবাণু মানুষের ওপরে এমনি ঝাপিয়ে পড়ে কাতারে কাতারে মানুষের প্রাণবদ করে চলছে, অথচ তা কেউ রুখতে পারছে না। ভাবাতো দূর অস্ত।
প্রথিবীতে যা ভাবা হয়ে থাকে তা নাও হতে পারে। আবার ভাবনাকে ছাপিয়ে মানুষের যাত্রা চাঁদ পেরিয়ে মঙ্গলে পৌছে গিয়েছে।

ট্রেনের একটি টিকিট পেতে আগের রাতে এসে স্টেশন লাইন ধরতে হতো। দু’বছর তা উদাও : সংগ্রহ
কিন্তু কভিড নামক অদেখা ভাইরাস যুদ্ধে মানুষ আজ পরাভূত! এই ভারাসের ইতিহাস ধারণ করে কত সাহিত্য-চলচ্চিত্র, নাটক, কবিতা হচ্ছে এবং আরও হবে। দুঃখগাঁথা পদাবলী খাইবো আমরা, যা শুনবে আগামী। তারা ভাববে মানুষের প্রাণ সংহারি এমন ভাইরাসের জন্ম হয়েছিলো, পৃথিবী নামক এই মানববসতিতে!
২০১৯ এর শেষ প্রান্তে বিশ্বমহামারি রূপ নেওয়া করোনা তথা কভিড ভাইরাস নানারূপে বিরাজমান। কোন সময় কিছুটা দুর্বল হলেও, ফের বার্তা এটি আরও প্রাণ সংহারি রূপে ফিরে আসার।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং সর্বশেষ ভারতে যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছে কভিড নামক অভিশাপ তা রীতিমত একটি বিশাল রাষ্ট্রের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে। রাতদিন জ্বলছে কাতারে কাতার চিতার আগুন। তারপরও শপদেহ সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে ওঠেছে!
প্রতিদিন প্রায় এশশোটি জলযান ঈদে বাড়ি ফেরা মানুেষদের নিয়ে চলাচল করতো: সংগ্রহ
ভাইরাস থেকে মানুষ রক্ষায় লকডাউনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে দুনিয়াবাসী। এর থেকে বাচতে হয়তো আরও অনেক পদ্ধতির সঙ্গেই আমরা পরিচিত হবো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভয়ঙ্কর একারণে, এটি মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আরও আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, অনেক মানুষই রয়েছেন উপসর্গবিহীন। তিনি দিব্যি নানা মানুষের সঙ্গে চলাচল করছেন। যেই পরীক্ষা করিয়েছেন, অমনি চোখ কপালে ওঠে আসে। হ্যা! করোনা পজেটিভ!
ঈদে চলাচলকারী প্রতিটি জলযানে তিল ধারণের ঠাঁই মিলতো না, তারপরও নাড়ির টানে ছুটে চলা : সংগ্রহ
ততদিনে তার থেকে হয়তো বহুজনের মধ্যে অভিশপ্ত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। একারণেই চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের পরামর্শ দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম থেকে দূরে থাকা, গাদাগাদি করে চলাচল না করা ইত্যাদি মান্যতা শতভাগ বিবেচনায় নিয়ে মাস্ক পড়ে চলাচল করতে হবে। এক্ষেত্রে উদাসিনতাকে আমলে নেওয়া যাবে না।
বিশ্বের বিধিনিষেধের ন্যায় বাংলাদেশেও লকডাউন চলছে। কড়া নির্দেশনা রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। ঈদকে সামনে রেখে মুসলিম প্রধান দেশটিতে মার্কেট, বিপণী-বিতান, দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশনা এসেছে সরকারের তরফে। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে পণ্যপরিবহণ চালু রাখার পাশাপাশি রপ্তানির বাজারও সচল। ঈদের ছুটিতে সবাইকে কর্মস্থলেই থাকতে বরঅ হয়েছে সরকারী নির্দেশনায়।
মহাসড়কে ৫০-৬০ কিলোমিটার যানজট ঠেলে ঈদে বাড়ি ফেরা : সংগ্রহ
বাংলাদেশে চলমান বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নতুন বিধি-নিষেধের মধ্যেই মুসলিম ধর্মাবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে।
এর আগে ৫ মে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধি-নিষেধের সময়সীমা বর্ধিতকরণের’ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলত্যাগ থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করতে হবে।
বছর দুই যাবত বাড়ি ফেরার এমন দৃশ্য দেখা যায় না : সংগ্রহ
৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে কেবল মাত্র শহরাঞ্চলে গণপরিবহন চলাচল করবে। দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঈদে জন্মভিটায় ফেরার এই প্রতিযোগিতা হারিয়ে গিয়েছে : সংগ্রহ
কভিড প্রাদুর্ভাব রুখতে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা প্রায় ৫০ লাখের বেশি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহয়তা প্রদান করে চলেছেন। এটিকে অনেকে সরকার প্রধানের নজির গড়ার কথা বলছেন। করোনার প্রভাবে কর্মহারা বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের উজ্জ্বল উদারণ হয়ে থাকবে।