ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলামের ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি কান্ডে জড়িত থাকার মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসব হেফাজত নেতার কারো কারো বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলাও হয়েছে।
ধর্ষণ, নারীকে ফুসলিয়ে তাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার মত নানা অপকর্মের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হেফাজতে ইসলাম, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের তান্ডব চালায়। হেফাজত তান্ডবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান চৌধুরী।
শনিবার ভোররাতে সাতকানিয়া পৌরসভার ছমদর পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্ততার হন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিশে সূরার সদস্য।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ খুঁজছে আরও দু’জনকে
ওয়াজের মাধ্যমে দেশজুড়ে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আরও দুই ইসলামি বক্তাকে খুঁজছে পুলিশ। তারা হলেন মুফতি আমির হামজা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবী। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এই দুই ইসলামি বক্তা ওয়াজের নামে কথিত জিহাদের ডাক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করে আসছেন।
ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা কোমলমতি কিশোর-তরুণদের ব্রেনওয়াশের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজন ইসলামি বক্তার তালিকা করা হয়েছে। তারা ইউটিউবে ওয়াজের নামে উগ্রবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতেন। তাদের ভুল ব্যাখ্যায় মোটিভেটেড হয়ে অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।
ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব আলি হাসান উসামা জানায় এক ইসলামি বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়া সে জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়। আমরা সেসব ওয়াজকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।