ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে নিহত ১৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনই বেসামরিক নাগরিক। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সীমান্তের কেরান সেক্টরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহ লড়াই।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সংঘর্ষে ভারতের ৬জন বেসামরিক নাগরিক, ৩জন সেনা ও একজন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। আর পাকিস্তান বলছে, সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৪ বেসামরিক ও ১ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকা অঞ্চলে।

এদিকে, নীলম উপত্যকাজুড়েই মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানির এক কর্মকর্তা। এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দু’দেশ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ভারতের এক প্রবীণ কূটনীতিককে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চির বৈরি এ দেশ দু’টি। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে দেশ দু’টি। তবে তা বরাবরই ভঙ্গ করা হয়েছে। এ জন্য দেশ দু’টি বারবারই পরস্পরকে দায়ী করে আসছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত এ বছর কমপক্ষে দুই হাজার ৭২৯ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য ২১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুতর আহত হয়েছেন ২০৬ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে নিহত ১৫

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনই বেসামরিক নাগরিক। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সীমান্তের কেরান সেক্টরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহ লড়াই।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সংঘর্ষে ভারতের ৬জন বেসামরিক নাগরিক, ৩জন সেনা ও একজন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। আর পাকিস্তান বলছে, সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৪ বেসামরিক ও ১ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকা অঞ্চলে।

এদিকে, নীলম উপত্যকাজুড়েই মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানির এক কর্মকর্তা। এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দু’দেশ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ভারতের এক প্রবীণ কূটনীতিককে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চির বৈরি এ দেশ দু’টি। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে দেশ দু’টি। তবে তা বরাবরই ভঙ্গ করা হয়েছে। এ জন্য দেশ দু’টি বারবারই পরস্পরকে দায়ী করে আসছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত এ বছর কমপক্ষে দুই হাজার ৭২৯ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য ২১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুতর আহত হয়েছেন ২০৬ জন।