ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিজ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার সাকিব

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

সিরিজ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসানই।  নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর দীর্ঘদিন ধরেই সাকিব আল হাসান ফর্মহীনতায় ভূগছিলেন। বেশ কিছু বিতর্কও হয়েছে তাকে নিয়ে। এরপর বোলিংয়ে নিজেকে ফিরে পেতে থাকেন। কিছু কিছু্ উইকেটও নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে একেবারেই কিছু করতে পারছিলেন না সাকিব। বাংলাদেশ দল এবং সারা দেশ তাকিয়ে ছিল সাকিবের ব্যাটে রান দেখতে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অনেকদিন পর দেখা গেল বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে দলকে জেতালেন। আক্ষেপ থেকে গেল তার সেঞ্চুরি নিয়ে। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে। প্রচণ্ড চাপের মাঝে ৯৬* রানের ইনিংস খেলে সাকিব হয়েছেন ম্যাচসেরা।

রান তাড়ায় নেমে টার্গেট বড় নয় বিধায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল সাবধানী। ভালোই খেলছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। ৩৯ রান এসে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ওপেনিং জুটি আরও বড় হবে। তখনই ছন্দপতন। লুক জঙ্গুইয়ের বলে সিকান্দার রাজার তালুবন্দি হন ৩৪ বলে ২০ রান করা তামিম। লিটনের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান।

আজও তিনি ব্যাট হাতে সাবলীল নন। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন ধীরগতির শুরু করে হাত খুলতে থাকেন। ব্যক্তিগত ২১ রানে আলগা শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলের হাতে। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

চারে নেমে ব্যর্থতার ঘানি টেনেই যাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। আজ তিনি মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন। প্রথম ম্যাচে বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ধরা পড়েছিলেন, এবার মোহাম্মদ মিঠুন খেললেন আরও আলগা শট। লুক জঙ্গুইয়ের বলে পয়েন্টে তার সহজ ক্যাচ নেন

মাধভেরে। বিনা উইকেটে ৩৯ রান থেকে পরবর্তী ১১ রানের মধ্যে বাংলাদেশের তিন উইকেট নেই হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন পাঁচে নামা মোসাদ্দেক। ৫ রান করে তিনি রান-আউট হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়েছে ৭৫ রানে।

এরপর উইকেট সামলানোর দায়িত্ব নেন দুই সিনিয়র সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। মুজরাবানির বলে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন ৩৫ বলে ২৬ রান করে। অল-রাউন্ডার মেহেদি মিরাজও আজ ব্যর্থ। ১৫ বলে ৬ রান করে মাধভেরের বলে মেয়ার্সের তালুবন্দি

 

হন। ১৪৫ রানে ৬ উইকেটের পতন। এর মাঝেই ৫৯ বলে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। গত ম্যাচে বেশ ঝড়ো ব্যাট চালানো আফিফ আজ ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। উইকেটে আসেন সাইফউদ্দিন। সঙ্গীর অভাবে সাকিব সেঞ্চুরি পাবেন কিনা সেই আশঙ্কা জেঁকে বসে।

সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফউদ্দিন। যদিও তিনি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন না। ম্যাচে চলে আসে তুমুল উত্তেজনা। বলের সঙ্গে রানের লড়াই। সেইসঙ্গে সাকিবের সেঞ্চুরির জন্য টেনশন। দুজনের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। একটা সময় নিশ্চিত হয়ে যায়, সাকিব সেঞ্চুরি পাচ্ছেন না। তখন দলের জয়ই বড় হয়ে দাঁড়ায়। ৫০তম ওভারের প্রথম বলে মুজরাবানিকে

বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন ২৮* রানে। সাকিব অপরাজিত ১০৯ বলে ৯৬* রানে। তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৮টি। এর আগে ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২* রানে অপরাজিত ছিলেন। দল জিতেছিল ৫ উইকেটে।

জুটিতে ৩১ রান আসতেই ২৫তম ওভারে শরীফুল ইসলামের শর্ট বলে অদ্ভুতভাবে ‘হিট উইকেট’ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ব্রেন্ডন টেইলর। মেয়ার্সকে (৩৪) সাকিব ফিরিয়ে দিলে দলীয় ১৪৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৫ম উইকেট পতন হয়। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে ৬৩ বলে ৫৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা এবং মাধভেরে। মাধভেরের ৬৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটির ইতি ঘটান শরীফুল। এই তরুণ পেসারের বলেই স্বাগতিকদের শেষটা ধসে পড়ে। শরীফুল ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিরিজ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার সাকিব

আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

ছবি সংগ্রহ

সিরিজ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসানই।  নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর দীর্ঘদিন ধরেই সাকিব আল হাসান ফর্মহীনতায় ভূগছিলেন। বেশ কিছু বিতর্কও হয়েছে তাকে নিয়ে। এরপর বোলিংয়ে নিজেকে ফিরে পেতে থাকেন। কিছু কিছু্ উইকেটও নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে একেবারেই কিছু করতে পারছিলেন না সাকিব। বাংলাদেশ দল এবং সারা দেশ তাকিয়ে ছিল সাকিবের ব্যাটে রান দেখতে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অনেকদিন পর দেখা গেল বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে দলকে জেতালেন। আক্ষেপ থেকে গেল তার সেঞ্চুরি নিয়ে। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে। প্রচণ্ড চাপের মাঝে ৯৬* রানের ইনিংস খেলে সাকিব হয়েছেন ম্যাচসেরা।

রান তাড়ায় নেমে টার্গেট বড় নয় বিধায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল সাবধানী। ভালোই খেলছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। ৩৯ রান এসে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ওপেনিং জুটি আরও বড় হবে। তখনই ছন্দপতন। লুক জঙ্গুইয়ের বলে সিকান্দার রাজার তালুবন্দি হন ৩৪ বলে ২০ রান করা তামিম। লিটনের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান।

আজও তিনি ব্যাট হাতে সাবলীল নন। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন ধীরগতির শুরু করে হাত খুলতে থাকেন। ব্যক্তিগত ২১ রানে আলগা শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলের হাতে। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

চারে নেমে ব্যর্থতার ঘানি টেনেই যাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। আজ তিনি মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন। প্রথম ম্যাচে বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ধরা পড়েছিলেন, এবার মোহাম্মদ মিঠুন খেললেন আরও আলগা শট। লুক জঙ্গুইয়ের বলে পয়েন্টে তার সহজ ক্যাচ নেন

মাধভেরে। বিনা উইকেটে ৩৯ রান থেকে পরবর্তী ১১ রানের মধ্যে বাংলাদেশের তিন উইকেট নেই হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন পাঁচে নামা মোসাদ্দেক। ৫ রান করে তিনি রান-আউট হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়েছে ৭৫ রানে।

এরপর উইকেট সামলানোর দায়িত্ব নেন দুই সিনিয়র সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। মুজরাবানির বলে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন ৩৫ বলে ২৬ রান করে। অল-রাউন্ডার মেহেদি মিরাজও আজ ব্যর্থ। ১৫ বলে ৬ রান করে মাধভেরের বলে মেয়ার্সের তালুবন্দি

 

হন। ১৪৫ রানে ৬ উইকেটের পতন। এর মাঝেই ৫৯ বলে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। গত ম্যাচে বেশ ঝড়ো ব্যাট চালানো আফিফ আজ ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। উইকেটে আসেন সাইফউদ্দিন। সঙ্গীর অভাবে সাকিব সেঞ্চুরি পাবেন কিনা সেই আশঙ্কা জেঁকে বসে।

সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফউদ্দিন। যদিও তিনি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন না। ম্যাচে চলে আসে তুমুল উত্তেজনা। বলের সঙ্গে রানের লড়াই। সেইসঙ্গে সাকিবের সেঞ্চুরির জন্য টেনশন। দুজনের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। একটা সময় নিশ্চিত হয়ে যায়, সাকিব সেঞ্চুরি পাচ্ছেন না। তখন দলের জয়ই বড় হয়ে দাঁড়ায়। ৫০তম ওভারের প্রথম বলে মুজরাবানিকে

বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন ২৮* রানে। সাকিব অপরাজিত ১০৯ বলে ৯৬* রানে। তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৮টি। এর আগে ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২* রানে অপরাজিত ছিলেন। দল জিতেছিল ৫ উইকেটে।

জুটিতে ৩১ রান আসতেই ২৫তম ওভারে শরীফুল ইসলামের শর্ট বলে অদ্ভুতভাবে ‘হিট উইকেট’ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ব্রেন্ডন টেইলর। মেয়ার্সকে (৩৪) সাকিব ফিরিয়ে দিলে দলীয় ১৪৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৫ম উইকেট পতন হয়। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে ৬৩ বলে ৫৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা এবং মাধভেরে। মাধভেরের ৬৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটির ইতি ঘটান শরীফুল। এই তরুণ পেসারের বলেই স্বাগতিকদের শেষটা ধসে পড়ে। শরীফুল ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা।