প্রতিযোগিতাটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল গত বছর এপ্রিলে কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে আয়োজন হলেও প্রতিযোগিতার নামের সঙ্গে ‘২০২০’-ই রাখা হচ্ছে বলে জানালেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
হঠাৎ করেই দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। তবে শাহেদ রেজা জানালেন ভেন্যুগুলোতে অ্যাথলেট ও কর্মকর্তাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কথা।
“গেমস শুরুর আগে এটা আগেই মাথায় নিয়েছি। কোভিড-১৯ কিভাবে প্রতিরোধ করব। কমিটিতে যারা সদস্য আছে, সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন হাসপাতাল, কুর্মিটোলা গলফ ও বিভাগীয় শহরের সিভিল সার্জনদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ভেন্যুতে থাকবেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।”
গেমসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ জানালেন, ভেন্যুগুলোতে তিন ধাপের সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হবে অ্যাথলেট ও গেমস সংশ্লিষ্টদের জন্য।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার প্রয়োজনে গেমস চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর আশপাশের ভেন্যুগুলোতে জনসমাগম এবং রাস্তায় থাকা অস্থায়ী দোকানপাট বন্ধ রাখার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলে জানান বিওএ মহাসচিব।
“ইতোমধ্যে এনএসসিকে চিঠি দিয়েছি। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন খেলা চলাকালীন দোকানপাঠ সব বন্ধ রাখার ব্যাপারে। দর্শকদের তো আর কোভিড টেস্ট করা সম্ভব হবে না। তাদের টেম্পারেচার টেস্ট, দুরত্ব মেনে বসার ব্যবস্থা করা হবে।”
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গেমস আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে বশির আহমেদ জানালেন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় তৈরি করার কথা।
“এখানের চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়রাই দেশের হয়ে দেশের বাইরে খেলতে যাবে। এই মাপকাঠি এখন তৈরি হবে। এখন সব ফেডারেশনের খেলার মধ্যে চলে আসছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই-চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার তৈরি করা।”