ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার হানা, রুখতে ১২দিনের লকডাউন

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ ২১৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের পর্যটন জেলা কক্সবাজার। এর দু’টো উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়ায় রয়েছে, ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির। তাদের মায়ানমার থেকে জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা জনগোষ্ঠী নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়।

বর্তমানের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস ৩৪টি শিবিরে। ঘিঞ্জি পরিবেশ। শরণার্থী জীবন বলতে যা বোঝায়। বলতে গেলে মানুষের বারুদঘর এক একটি রোহিঙ্গা শিবির। সেখানেই হানা দিয়েছে করোনা। এরই মধ্যে মারা গিয়েছে ১৩জন। আর আক্রান্তর তালিকা এখন পর্যন্ত ৯১৩। করোনা রুখতে ১২দিনের লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে ৫টি শিবির।

রোহিঙ্গা শিবিরে হঠাৎ করেই করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া ত্রাণ ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিবির সূত্রের খবর, ৩৪টি শিবিরের ৪১ হাজার ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৪ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে শিবিরগুলোতে করোনা শনাক্তর সংখ্যা ছিল ১৬৫ জন।

যেখানে ১৯ মে এবং ২০ মে ২ দিনে ৯০ জন শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে ৭৪০জন উখিয়াউয়ায় এবং টেকনাফ শিবিরে ১৭৩ জন রয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৩ জন। করোনা ছড়ানো উখিয়ার ২ ডব্লিও, শিবির ৩, ৪, ১৫ এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর এই ৫টি শিবিরে ১২ দিনের লকডাউন ঘোষণা চলছে।

শুক্রবার কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা জানান, হঠাৎ করে শিবিরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ দিনের লকডাউন শেষ হবে ৩১ মে। এসময় ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসাসেবা, করোনা সচেতনতা সম্পর্কিত ওয়াশ কর্মসূচি, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পুষ্টি কার্যক্রমসহ অতি জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিবিরের কোন বাসিন্দাকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর)। উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি করোনাঝুঁকিতে থাকার কথা জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার হানা, রুখতে ১২দিনের লকডাউন

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের পর্যটন জেলা কক্সবাজার। এর দু’টো উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়ায় রয়েছে, ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির। তাদের মায়ানমার থেকে জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা জনগোষ্ঠী নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়।

বর্তমানের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস ৩৪টি শিবিরে। ঘিঞ্জি পরিবেশ। শরণার্থী জীবন বলতে যা বোঝায়। বলতে গেলে মানুষের বারুদঘর এক একটি রোহিঙ্গা শিবির। সেখানেই হানা দিয়েছে করোনা। এরই মধ্যে মারা গিয়েছে ১৩জন। আর আক্রান্তর তালিকা এখন পর্যন্ত ৯১৩। করোনা রুখতে ১২দিনের লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে ৫টি শিবির।

রোহিঙ্গা শিবিরে হঠাৎ করেই করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া ত্রাণ ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিবির সূত্রের খবর, ৩৪টি শিবিরের ৪১ হাজার ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৪ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে শিবিরগুলোতে করোনা শনাক্তর সংখ্যা ছিল ১৬৫ জন।

যেখানে ১৯ মে এবং ২০ মে ২ দিনে ৯০ জন শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে ৭৪০জন উখিয়াউয়ায় এবং টেকনাফ শিবিরে ১৭৩ জন রয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৩ জন। করোনা ছড়ানো উখিয়ার ২ ডব্লিও, শিবির ৩, ৪, ১৫ এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর এই ৫টি শিবিরে ১২ দিনের লকডাউন ঘোষণা চলছে।

শুক্রবার কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা জানান, হঠাৎ করে শিবিরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ দিনের লকডাউন শেষ হবে ৩১ মে। এসময় ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসাসেবা, করোনা সচেতনতা সম্পর্কিত ওয়াশ কর্মসূচি, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পুষ্টি কার্যক্রমসহ অতি জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিবিরের কোন বাসিন্দাকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর)। উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি করোনাঝুঁকিতে থাকার কথা জানিয়েছে।