ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বললো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মোদির আগমনে নয়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই নৈরাজ্য: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি’র বক্তব্য প্রমাণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের সোমবারের বক্তব্য প্রমাণ করে, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো নরেন্দ্র মোদির আগমনের কারণে করা হয়নি, বরং সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য সুরাইয়া অনু, রাজন ভট্টাচার্য্য, হেমায়েত হোসেন প্রমুখ মতবিনিময়ে অংশ নেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন রোববার হরতাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে ৯টি বাস-ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে। এগুলোর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি এবং তাদের তথাকথিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, যাদের বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে, তারাও বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে জনগণের ও সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর হামলারই সামিল, যেটিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি-জামাত। একইসাথে সুর মিলিয়ে আজকে যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেন যে, তারা সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিবেন, তখন এই সমস্ত নৈরাজ্যগুলো তাদের পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে, এটিই প্রমাণিত হয়।’

‘২০১৩, ১৪, ১৫ সালে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামাতই ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং আজ হেফাজতের ব্যানারে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এগুলো নরেন্দ্র মোদির আগমনের কারণে করা হয়নি, বরং সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’

আমরা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে এর চেয়েও বেশি নৈরাজ্য মোকাবিলা করে দেশে শান্তি, স্থিতি স্থাপন করেছি, আমরা এবারও এ ধরণের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে বদ্ধপরিকর, প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং মির্জা ফখরুল সাহেব যে স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উত্থাপন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় কোনো সাংবাদিক হামলা এটি দু:খজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। কারণ কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য জনগণকে জানানোর জন্য সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করবে এটিই স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রে আমি সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত পক্ষকে অনুরোধ জানাবো পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় যেনো কোনো সাংবাদিক নি:গৃহীত না হয়, কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা না হয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ যারা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, করেছে, তারাই এই হামলাগুলো পরিচালনা করেছে। অতীতেও ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা দেখেছি একই গোষ্ঠী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। বায়তুল মোকাররমে যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা নিশ্চয়ই দলের পক্ষ থেকে সেটি খতিয়ে দেখবো কেউ যুক্ত আছেন কি না, যদি থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মোদির আগমনে নয়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই নৈরাজ্য: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

বিএনপি’র বক্তব্য প্রমাণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের সোমবারের বক্তব্য প্রমাণ করে, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো নরেন্দ্র মোদির আগমনের কারণে করা হয়নি, বরং সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য সুরাইয়া অনু, রাজন ভট্টাচার্য্য, হেমায়েত হোসেন প্রমুখ মতবিনিময়ে অংশ নেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন রোববার হরতাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে ৯টি বাস-ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে। এগুলোর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি এবং তাদের তথাকথিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, যাদের বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে, তারাও বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে জনগণের ও সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর হামলারই সামিল, যেটিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি-জামাত। একইসাথে সুর মিলিয়ে আজকে যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেন যে, তারা সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিবেন, তখন এই সমস্ত নৈরাজ্যগুলো তাদের পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে, এটিই প্রমাণিত হয়।’

‘২০১৩, ১৪, ১৫ সালে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামাতই ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং আজ হেফাজতের ব্যানারে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এগুলো নরেন্দ্র মোদির আগমনের কারণে করা হয়নি, বরং সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’

আমরা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে এর চেয়েও বেশি নৈরাজ্য মোকাবিলা করে দেশে শান্তি, স্থিতি স্থাপন করেছি, আমরা এবারও এ ধরণের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে বদ্ধপরিকর, প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং মির্জা ফখরুল সাহেব যে স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উত্থাপন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় কোনো সাংবাদিক হামলা এটি দু:খজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। কারণ কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য জনগণকে জানানোর জন্য সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করবে এটিই স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রে আমি সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত পক্ষকে অনুরোধ জানাবো পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় যেনো কোনো সাংবাদিক নি:গৃহীত না হয়, কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা না হয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ যারা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, করেছে, তারাই এই হামলাগুলো পরিচালনা করেছে। অতীতেও ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা দেখেছি একই গোষ্ঠী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। বায়তুল মোকাররমে যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা নিশ্চয়ই দলের পক্ষ থেকে সেটি খতিয়ে দেখবো কেউ যুক্ত আছেন কি না, যদি থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।