ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারির আশঙ্কা: এইচএমপিভি ভাইরাস, উপসর্গগুলো কী?

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা: ছবি সংগৃহীত

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কোভিড মহামারির বছর পাচেকের মাথায় ফের এইচএমপিভি মহামারির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কি এই ভাইরাস। এর নাম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি)। চীন ও জাপানে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে অনেককে।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, আরও একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারির নাম দেয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স।

বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে।

প্রতিবেদন মতে, এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কীভাবে ছড়ায়?

এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-

১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।

২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।

৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হলেও এখন পর্যন্ত এর টিকা আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

টানা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মহামারির আশঙ্কা: এইচএমপিভি ভাইরাস, উপসর্গগুলো কী?

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

কোভিড মহামারির বছর পাচেকের মাথায় ফের এইচএমপিভি মহামারির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কি এই ভাইরাস। এর নাম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি)। চীন ও জাপানে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে অনেককে।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, আরও একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারির নাম দেয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স।

বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে।

প্রতিবেদন মতে, এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কীভাবে ছড়ায়?

এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-

১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।

২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।

৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হলেও এখন পর্যন্ত এর টিকা আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

টানা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।