ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক মানবিক পিতা এরশাদ আলী মোড়লের গল্প আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাসিনা সরকারের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের পর জব্দ করা অর্থ জনকল্যানে ব্যয় করা হবে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ: মামুনুল হক ভারতের বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান গভীর রাতে ঢাকাসহ যে ১৫ অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির আভাস বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল গ্রেপ্তার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে ১৭জন আটক ফারাক্কাই দায়ী: বরেন্দ্র অঞ্চল কারবালায় পরিণত : ফরিদা আখতার

ভারতে দীপাবলি উৎসকে সামনে রেখে চীনা পণ্য বর্জনের নতুন নজির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০ ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারতে দীপাবলি উৎসকে সামনে রেখে চীনা পণ্য বর্জনের নতুন নজির। উৎসবে এবারে মাটির প্রদীপ বানাতে ব্যস্ত সময় পার কাটছে ভারতের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরা কুমোরদের। দীপাবলির বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদার জোগান দিতে নির্ঘুম সময় পার করতের কুমোররা। সময়ের পিঠ বেয়ে এক পর্যায়ে তা দখল করে ইলেকট্রিক বিভিন্ন বাতি, রাইস টুনি, ইলেকট্রিক প্রদীপ। বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার দাপটের মাঝে অনেকোঁ হারাতে বসে ঐতিহ্যেও হাত ধওে আসা মাটির প্রদীপ। আর সেখানে চীনের ইলেকট্রিক পণ্য আমদানি হতো ভারতের বাজারে। এবারে সেই দিন অতীত। ভারতীয় জনগণ বুঝতে পেরেছে, চীনা পণ্য বর্জন এবং মাটির কাছেই ফের ফিওে যাওয়া। ভারত ও চীন উভয়ের মধ্যে এখন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ফলে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে ভারত সরকার।
এতে করে দোরগোড়ায় আলোর উৎসবকে সামনে রেখে ভাগ্য খুলে গেছে ভারতের কুমারদের।

১৪ নভেম্বর দীপাবলি উদযাপিত হবে চীনা পণ্য বর্জনে উৎসবকে সামনে রেখে। সেই চিত্র দেখা চোখে পড়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। আগরতলার নন্দননগর এলাকার কুমারপাড়াতো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে মাটির প্রদীপ বানানোর কাজে। পাড়ার অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই রুদ্র পাল সম্প্রদায়ের। এখন তারা অনেকেই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের মূল পেশা মৃৎসামগ্রী তৈরি। দইয়ের হাঁড়িসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রসাদ বিতরণে ব্যবহৃত মাটির থালা, বাটির চাহিদা রয়েছে। তাই সারাবছর রুদ্র পাল সম্প্রদায় এসব পণ্য তৈরি করে জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।
আগরতলায় মহারাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি দামে মাটির প্রদীপ বিক্রি হয়। গড়ে ১শটি প্রদীপের ৮০ থেকে ৯০ রুপি। যদি এভাবে সাধারণ মানুষ চীনা পণ্য বর্জন করে তবে, আর্থিক অবস্থা আরও অনেক ভালো হবে বলেও জানান আগরতলার কুমাররা। এখানের রঞ্জিত রুদ্র পাল বলেন, আমাদের এখানে চীনা পণ্য বর্জন করায় মাটির প্রদীপের চাহিদাও তুঙ্গে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১৫ লাখ মাটির প্রদীপ বানিয়েছি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে সামনে আরও বেশি বেশি মাটির প্রদীপ বানাতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারতে দীপাবলি উৎসকে সামনে রেখে চীনা পণ্য বর্জনের নতুন নজির

আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারতে দীপাবলি উৎসকে সামনে রেখে চীনা পণ্য বর্জনের নতুন নজির। উৎসবে এবারে মাটির প্রদীপ বানাতে ব্যস্ত সময় পার কাটছে ভারতের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরা কুমোরদের। দীপাবলির বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদার জোগান দিতে নির্ঘুম সময় পার করতের কুমোররা। সময়ের পিঠ বেয়ে এক পর্যায়ে তা দখল করে ইলেকট্রিক বিভিন্ন বাতি, রাইস টুনি, ইলেকট্রিক প্রদীপ। বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার দাপটের মাঝে অনেকোঁ হারাতে বসে ঐতিহ্যেও হাত ধওে আসা মাটির প্রদীপ। আর সেখানে চীনের ইলেকট্রিক পণ্য আমদানি হতো ভারতের বাজারে। এবারে সেই দিন অতীত। ভারতীয় জনগণ বুঝতে পেরেছে, চীনা পণ্য বর্জন এবং মাটির কাছেই ফের ফিওে যাওয়া। ভারত ও চীন উভয়ের মধ্যে এখন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ফলে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে ভারত সরকার।
এতে করে দোরগোড়ায় আলোর উৎসবকে সামনে রেখে ভাগ্য খুলে গেছে ভারতের কুমারদের।

১৪ নভেম্বর দীপাবলি উদযাপিত হবে চীনা পণ্য বর্জনে উৎসবকে সামনে রেখে। সেই চিত্র দেখা চোখে পড়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। আগরতলার নন্দননগর এলাকার কুমারপাড়াতো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে মাটির প্রদীপ বানানোর কাজে। পাড়ার অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই রুদ্র পাল সম্প্রদায়ের। এখন তারা অনেকেই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের মূল পেশা মৃৎসামগ্রী তৈরি। দইয়ের হাঁড়িসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রসাদ বিতরণে ব্যবহৃত মাটির থালা, বাটির চাহিদা রয়েছে। তাই সারাবছর রুদ্র পাল সম্প্রদায় এসব পণ্য তৈরি করে জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।
আগরতলায় মহারাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি দামে মাটির প্রদীপ বিক্রি হয়। গড়ে ১শটি প্রদীপের ৮০ থেকে ৯০ রুপি। যদি এভাবে সাধারণ মানুষ চীনা পণ্য বর্জন করে তবে, আর্থিক অবস্থা আরও অনেক ভালো হবে বলেও জানান আগরতলার কুমাররা। এখানের রঞ্জিত রুদ্র পাল বলেন, আমাদের এখানে চীনা পণ্য বর্জন করায় মাটির প্রদীপের চাহিদাও তুঙ্গে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১৫ লাখ মাটির প্রদীপ বানিয়েছি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে সামনে আরও বেশি বেশি মাটির প্রদীপ বানাতে হবে।