বিজিবি’র অভিযানে ১২ কোটি টাকার ইয়াবা মাদক উদ্ধার

- আপডেট সময় : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১ ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৃহস্পহিবার শেষ রাত। মায়ানমারের সীমান্ত এলাকা টেকনাফ। নাফ নদীর তীরের এলাকা টেকনাফ মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত। মাদক কারবারীরা এতোটাই ধূর্ত, তাদের জালে আটকানোটাই চ্যালেঞ্চ হয়ে দাঁড়ায় বহু ক্ষেত্রে।
কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যে কোন মূল্যে মাদকসহ নানা রকম পণ্যের চোরাচালান বন্ধ করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন।
তাদের কাজের সুফল পাচ্ছেন সমাজের মানুষ। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধপণ্য আটক করেছে বিজিবি। অনেকক্ষেত্রে মিলছে আগ্নেয়াস্ত্রও।
এবারে স্মরণকালের বড়সড়ো ইয়াবার চালান আটক করলো বিজিবি জোয়ানরা। আর সেটা হচ্ছে, মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট টেকনাফ।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত। আগেই গোপন সূত্রের সংবাদ আসে, মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচারের। প্রস্তুতি নেন বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র টহলদল।
বিজিবি জোয়ানরা এও জানতে পারেন, লেদা বিওপি’র ‘লেদা খাল’র পাশ দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে। দেরি নয়, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই মতে বিজিবি’র বিশেষ টহলদল বেড়ীবাঁধের পিছনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ভোর সাড়ে চারটা। আবছা আলোতে দেখা গেলো ৫-৬ জন দুষ্কৃতিকারী দল লেদা খাল বিজিবি পোস্ট থেকে প্রায় ৯০০ গজ পশ্চিমে ৪ টি ব্যাগ কাঁধে করে নাফ নদীর তীর ধরে লবন মাঠের দিকে এগুচ্ছে। টহলদল উল্লেখিত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি’র সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুষ্কৃতিকারীরা বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বস্তাগুলো ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ব্যাগ উদ্ধার করে বিজিবি। পরবর্তিতে উদ্ধারকৃত ব্যাগ থেকে চার লাখ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। মাদক পাচারকারীদের সনাক্তে ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।