ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাংলাদেশে সেঞ্চুরী হাঁকালো পেঁয়াজ, ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিজস্বপ্রিতিনিধি, ঢাকা

বাঙলাদেশের বাজার ফের একশোর টাকা পেঁয়াজের কেজি। যখনই বাজার উর্ধমুখী তখনই বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে হাত বাড়ানো হয়। বর্তমান বাজহাওে নতুন পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও সেঞ্চুরী হাঁকালো পেঁয়াজ। এমন অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি কওে বাজার সামাল দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। রমজানের আগেই ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রতিবেশি দেশে পেয়াজ ও চিনি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত।

তবে বাংলাদেশের বেলায় তা শিথিল করার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের বেলায় সহনশীল অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে ভরমৌসুমে পেঁয়াজের কেজি একশো টাকা ছুঁয়েছে। চিনিও প্রতিকেজি ১৪০ টাকা। বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনা সরকার। এসব পেঁয়াজ ও চিনি রমজান শুরুর আগেই বাংলাদেশে পৌছানোর আশা করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ভারতের কাছে আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ভারত দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের চাহিদা বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবেন না।

যতটুকু সহনীয়, ততটুকু তারা দেবেন। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না। এমন পরিস্থিতির কিছুটা শিথিল করেছে। বাংলাদেশের আবেদন সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। বাণিজ্য প্রতি মন্ত্রীর আশা রমজানের আগেই একটা ইতিবাচক সাড়া মিলবে। বাজারে এই মুহূর্তে কাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রকার ভেদে প্রতি কেজির দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা। মূল পেঁয়াজ উঠতে মাসখানেক সময় লাগবে। পুরোপুরি ফসল তোলা শেষ হবে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে। এর মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বিক্রি করা হবে। মার্চের ১২ তারিখে রমজান শুরু হবার কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশে সেঞ্চুরী হাঁকালো পেঁয়াজ, ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

 

নিজস্বপ্রিতিনিধি, ঢাকা

বাঙলাদেশের বাজার ফের একশোর টাকা পেঁয়াজের কেজি। যখনই বাজার উর্ধমুখী তখনই বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে হাত বাড়ানো হয়। বর্তমান বাজহাওে নতুন পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও সেঞ্চুরী হাঁকালো পেঁয়াজ। এমন অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি কওে বাজার সামাল দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। রমজানের আগেই ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রতিবেশি দেশে পেয়াজ ও চিনি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত।

তবে বাংলাদেশের বেলায় তা শিথিল করার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের বেলায় সহনশীল অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে ভরমৌসুমে পেঁয়াজের কেজি একশো টাকা ছুঁয়েছে। চিনিও প্রতিকেজি ১৪০ টাকা। বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনা সরকার। এসব পেঁয়াজ ও চিনি রমজান শুরুর আগেই বাংলাদেশে পৌছানোর আশা করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ভারতের কাছে আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ভারত দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের চাহিদা বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবেন না।

যতটুকু সহনীয়, ততটুকু তারা দেবেন। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না। এমন পরিস্থিতির কিছুটা শিথিল করেছে। বাংলাদেশের আবেদন সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। বাণিজ্য প্রতি মন্ত্রীর আশা রমজানের আগেই একটা ইতিবাচক সাড়া মিলবে। বাজারে এই মুহূর্তে কাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রকার ভেদে প্রতি কেজির দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা। মূল পেঁয়াজ উঠতে মাসখানেক সময় লাগবে। পুরোপুরি ফসল তোলা শেষ হবে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে। এর মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বিক্রি করা হবে। মার্চের ১২ তারিখে রমজান শুরু হবার কথা।