ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহিরাগকতদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রেসক্লাবকেই দায়িত্ব নিতে হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১ ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

এখানের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও সজাগ হবার বিষয়টিও সামনে টানেন তিনি। বলেন, প্রেসক্লাবে যাতে কোন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাবে দুই-একজন পুলিশ হয়তো প্রবেশ করেছে। আর পরিস্থিতি অতিমাত্রায় চলে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ারশেল ছুড়েছে পুলিশ। প্রেসক্লাবের ভেতরে যেন বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে, সেজন্য প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২১ আয়োজিত ২০২০ সালের কর্তব্যরত অবস্থান জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গের স্বীকৃতি স্মারক অনুষ্ঠানের শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেসক্লাবের সামনে এবং ভেতরে বহিরাগতদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রেসক্লাবের দিকে তাক করে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে। বহিরাগত ও পুলিশ প্রেসক্লাবে ঢুকলো। তাহলে কি প্রেসক্লাব অনিরাপদ? জবাবেস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাব অনিরাপদ হয়নি। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, আমিও আধাঘণ্টা ধরে দেখেছি, আপনারই ছবি তুলে প্রচার করেছেন। সেটার মধ্যে এই দৃশ্যও দেখেছেন-একজন পুলিশ এক জায়গায় একা দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে বড় বড় লাঠি দিয়ে পেটানোর দৃশ্যও আপনারা দেখেছেন। চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছে।

প্রেসক্লাবে কোনোদিন আমাদের পুলিশ ভেতরে ঢোকে না এবং এদিন যেভাবে ইটপাটকেল ছুড়ছিল সে সময় দু-একজন হয়তো ঢুকেছে কিন্তু সাধারণত ঢোকে না। প্রেসক্লাবের রীতি অনুযায়ী ঢোকে না। কিন্তু যেভাবে ইটপাটকেল ও মারামারির সৃষ্টি হয়েছিলো সেখানে উচিত ছিল মারামারি না করা। টিয়ার গ্যাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনা যখন অতিমাত্রায় চলে যায় তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাস মেরে তাদেরকে সরানোর কৌশল মাত্র।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়।

এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও ছাত্রদল কর্মীসহ আহত হন প্রায় অর্ধশত মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালার ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় দলটির ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বহিরাগকতদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রেসক্লাবকেই দায়িত্ব নিতে হবে

আপডেট সময় : ১১:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

এখানের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও সজাগ হবার বিষয়টিও সামনে টানেন তিনি। বলেন, প্রেসক্লাবে যাতে কোন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাবে দুই-একজন পুলিশ হয়তো প্রবেশ করেছে। আর পরিস্থিতি অতিমাত্রায় চলে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ারশেল ছুড়েছে পুলিশ। প্রেসক্লাবের ভেতরে যেন বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে, সেজন্য প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২১ আয়োজিত ২০২০ সালের কর্তব্যরত অবস্থান জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গের স্বীকৃতি স্মারক অনুষ্ঠানের শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেসক্লাবের সামনে এবং ভেতরে বহিরাগতদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রেসক্লাবের দিকে তাক করে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে। বহিরাগত ও পুলিশ প্রেসক্লাবে ঢুকলো। তাহলে কি প্রেসক্লাব অনিরাপদ? জবাবেস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাব অনিরাপদ হয়নি। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, আমিও আধাঘণ্টা ধরে দেখেছি, আপনারই ছবি তুলে প্রচার করেছেন। সেটার মধ্যে এই দৃশ্যও দেখেছেন-একজন পুলিশ এক জায়গায় একা দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে বড় বড় লাঠি দিয়ে পেটানোর দৃশ্যও আপনারা দেখেছেন। চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছে।

প্রেসক্লাবে কোনোদিন আমাদের পুলিশ ভেতরে ঢোকে না এবং এদিন যেভাবে ইটপাটকেল ছুড়ছিল সে সময় দু-একজন হয়তো ঢুকেছে কিন্তু সাধারণত ঢোকে না। প্রেসক্লাবের রীতি অনুযায়ী ঢোকে না। কিন্তু যেভাবে ইটপাটকেল ও মারামারির সৃষ্টি হয়েছিলো সেখানে উচিত ছিল মারামারি না করা। টিয়ার গ্যাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনা যখন অতিমাত্রায় চলে যায় তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাস মেরে তাদেরকে সরানোর কৌশল মাত্র।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়।

এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও ছাত্রদল কর্মীসহ আহত হন প্রায় অর্ধশত মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালার ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় দলটির ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে।