প্রতীকী ছবি সংগ্রহ
করোনা, ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। যদিও সচেতনতাই একমাত্র প্রতিকার। তারপরও মাঠেঘাটে কাজেকর্মে থাকা মানুষ বজ্রপাতের মারা যাচ্ছেন। সোমবার দিনাজপুরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর
উপজেলার ৮ নং উপশহরে মোবাইলে গেম খেলার সময় বজ্রপাতে মারা গিয়েছে ৪ কিশোর এবং দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় পুকুরে মাছ ধরার গিয়ে মারা তিনজন যুবক।
দিনাজপুর সদর উপজেলায় মৃতরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন (১৩), আপন (১৪), হাসান আলী (১২) ও মিম মন্ডল (১৩)। আহতরা মমিনুল ইসলাম (১৩), আতিক (১৫) এবং অপর আরও একজন। হতাহতদের সকলেরই বাড়ী দিনাজপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।
এলাকার বাসিন্দা জানান, সোমবার বিকাল ৩টায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সময় দিনাজপুর উপশহরের রেলঘুন্টির পাশের টিনসেডের নিচে মোবাইলে গেম খেলছিলো ৭জন কিশোর। এ সময় বজ্রপাতে
সবাই গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৪জনের মৃত্যু হয়। অপর তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক। দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন চারজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামে পুকুরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, নুর ইসলাম (২৪), আব্দুর রাজ্জাক (২৩)
ও আব্বাস আলী (২২)। চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।