ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনসহ সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যরা সহযোগী

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনসহ সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যরা সহযোগী

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করে। শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তারা হবেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন । বঙ্গবন্ধুসহ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়টি ঠিক নয় । বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান, উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। গণমাধ্যমে মিসলিডিং হয়েছে। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এ উপদেষ্টা জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই তা বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর হয়নি।

মঙ্গলবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। জামুকা অধ্যাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। মঙ্গলবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশটি জারি করে।

মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে, এটা যে ফেইক নিউজ, তার প্রমাণ হিসেবে অধ্যাদেশের স্ক্রিনশট ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনসহ সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যরা সহযোগী

আপডেট সময় : ১০:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করে। শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তারা হবেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন । বঙ্গবন্ধুসহ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়টি ঠিক নয় । বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান, উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। গণমাধ্যমে মিসলিডিং হয়েছে। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এ উপদেষ্টা জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই তা বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর হয়নি।

মঙ্গলবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। জামুকা অধ্যাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। মঙ্গলবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশটি জারি করে।

মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে, এটা যে ফেইক নিউজ, তার প্রমাণ হিসেবে অধ্যাদেশের স্ক্রিনশট ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।