ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সো. আবদুর রহমান বলেছেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়।

শনিবার (৮ জুন) ঢাকার এক হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড পিপিআর ইরাডিকেশন স্ট্রাটেজিস, অ্যানিমেল ব্রীডিং এন্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্সেমিনেশন পলিসি, পোল্ট্রি হ্যাচারী অ্যাক্ট, লাইভস্টক এক্সটেনশন পলিসি এন্ড ম্যানুয়াল বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

১৯৭৩ সালে এক আবেগঘন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতার কথা সরণ করিয়ে দিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের এই জাতিকে এই যাত্রাপথকে কেউ রুখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভলপ করতে পারি ইনশাআল্লাহ এদিন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের স্প্রিটটি ধরেই আজ বাংলাদেশে বর্তমানে এসে দাড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান যে তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশেই শুধু নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তিনি বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের এই লাইভস্টকের উন্নয়নের জন্য ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রনয়ণ খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। লাইভস্টক সেক্টর আমাদের দেহের শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন।

আমাদের জাতীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও লাইভস্টক একটা বড় উপাদান বলে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, দারিদ্র্যতা দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কন্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভস্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না।

তবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম অব বাংলাদেশ মিস্টার দিয়া সানো বক্তব্য প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

 

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সো. আবদুর রহমান বলেছেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়।

শনিবার (৮ জুন) ঢাকার এক হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড পিপিআর ইরাডিকেশন স্ট্রাটেজিস, অ্যানিমেল ব্রীডিং এন্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্সেমিনেশন পলিসি, পোল্ট্রি হ্যাচারী অ্যাক্ট, লাইভস্টক এক্সটেনশন পলিসি এন্ড ম্যানুয়াল বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

১৯৭৩ সালে এক আবেগঘন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতার কথা সরণ করিয়ে দিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের এই জাতিকে এই যাত্রাপথকে কেউ রুখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভলপ করতে পারি ইনশাআল্লাহ এদিন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের স্প্রিটটি ধরেই আজ বাংলাদেশে বর্তমানে এসে দাড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান যে তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশেই শুধু নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তিনি বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের এই লাইভস্টকের উন্নয়নের জন্য ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রনয়ণ খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। লাইভস্টক সেক্টর আমাদের দেহের শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন।

আমাদের জাতীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও লাইভস্টক একটা বড় উপাদান বলে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, দারিদ্র্যতা দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কন্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভস্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না।

তবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম অব বাংলাদেশ মিস্টার দিয়া সানো বক্তব্য প্রদান করেন।