নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুত উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৮:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার পথে জোরকদমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ‘ভবিষ্যতে দেশটি বিদ্যুৎ রফতানি করবে’। এরই মধ্যে জলবিদ্যুত উৎপাদনে নেপাল ও ভুটানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে হাসিনা সরকার।
নেপাল ও ভুটানে এই অর্থ বিনিয়োগ করা গেলে দেশের বাইরে বিদ্যুৎ খাতে এটি বাংলাদেশের প্রথম বিনিয়োগ হবে। এখাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই নেপালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। চুক্তি খসড়া চূড়ান্ত। নেপাল সঙ্গে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তিটি আগামী মাসেই হতে যাচ্ছে। অবশ্য এর আগে নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য এমওইউ সই করে বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, নেপালে জলবিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নেপালের জ্বালানি মন্ত্রী জনার্দন শর্মা ঢাকা সফরে করেন। সেই সময়েই আলোচনায় নেপাল-বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। পরবর্তীতো ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং গত মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে এলে সেখানে জলবিদ্যুৎ নির্মাণের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। তবে করোনাকালীন বিষয়টি খুব বেশি দূর এগোয়নি।
বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পার্বত্য অঞ্চল কাপ্তাইয়ে। বর্ষা মৌসুমে এ কেন্দ্র থেকে ২৩০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। শুষ্ক মৌসুমে জলের অভাবে কেন্দ্রটি পুরোমাত্রায় চালানো সম্ভব হয় না। ভৌলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আর কোথাও জল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ নেই।
সেক্ষেত্রে নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের অরুণাচল মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা। এই সম্ভাবনার খুব সামান্য পরিমাণ ব্যবহার হচ্ছে। দেশগুলো এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে অঞ্চলিক জ্বালানি সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর-এর সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কোম্পানিটি ভারতে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে। আমরা এখন নেপালের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে বিদ্যুৎ আমদানির, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ রফতানির চুক্তি করবো।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ প্রতি ইউনিটে ৩০ পয়সা। সে বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেই বিদ্যুৎ আমদানি করা গেলে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে।