দু’দিনের সফরে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
- আপডেট সময় : ১২:১৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসেই আসছেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরশি রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে গোটা জাতি যখন আনন্দে ভাসছে, ঠিক সেই সময়ে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছান নরেন্দ্র মোদি।
মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উৎযাপন আয়োজনে ঢাকা দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পা রাখলেন মহান অতিথি।
তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতার পর, নরেন্দ্র মোদি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১’র বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন।
বিকেলে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হোটেল শেরাটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার ১০ম দিনের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেবেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করবেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায়ও যোগদান দেবেন।
সফরসূচি অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন করবেন।
এদিন বিকেলে মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশকিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি দুইদেশের যৌথভাবে করা বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সবশেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানে এর আগে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। শেষ দিন অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দেশ, প্রতিবেশী, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কারণে দুই দেশের সম্পর্কও সুগভীর। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর উপলক্ষ্যে বিমান বন্দর থেকে বঙ্গভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও সড়কদ্বীপ দু’দেশের পতায় সাজানো হয়েছে।