কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতের গুলিণতে আহত ১০

- আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
ডাকাতির খবরে পেয়ে আমরা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে ট্রলারে করে নদীতে নেমে যাই। আমরা ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতেরা আমাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়। স্পিডবোটে ১০ জনের মতো ডাকাত ছিল। সবার হাতেই অস্ত্র ছিল।
কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতদের প্রতিহতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার চরগোবিন্দপুরের বাসিন্দা রাজু ফরাজী এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটারাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু হয়। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহত হন ৮জন। গণপিটুনিতে আহত ৫ ডাকাতকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ তিনজন স্থানীয় জনতাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত দুই ডাকাত হচ্ছে, রিপন হোসেন (৩২) ও মো. আনোয়ার (৩৫)। রিপনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায়। গুলিবিদ্ধ আটজনের মধ্যে পাঁচজন মাদারীপুরের বাসিন্দা।
তারা হচ্ছেন, সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর এলাকার হেলাল মোল্লা (৪৪), অনিক সরদার (১৪), সালাউদ্দিন সরদার (৩৫), দুলাল সরদার (৩৭), সাইম হোসেন (১৮)। তাঁরা সবাই শুক্রবার রাতে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহামুদ বলেন, পাঁচজনের শরীরেই একাধিক রাবার বুলেট লেগেছে। এর মধ্যে হেলাল মোল্লার শরীরে ২০টির বেশি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। অন্যদের শরীরেও পাঁচ থেকে সাতটি করে গুলি লাগে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই ডাকাত দল মাদারীপুরের অংশ রেখে শরীয়তপুরের দিকে চলে যায়। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।