করোনার টিকা উৎপাদন করবে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশ্বে সীমিত কয়েকটি দেশ করোনার টিকা উৎপাদন করছে। এবারে সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও টিকা উৎপাদন করবে। ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে শুভেচ্ছা ভাষণে একথা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশেই যাতে করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদন করতে পারি, সে ব্যবস্থা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সকল নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।
বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে রাশিয়া এবং চীনের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে টিকা ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। টিকা পেতে আমেরিকার কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে কার্যকর এবং পরীক্ষিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই আমরা গণটিকাকরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ভারত টিকা রপ্তানির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব টিকাকরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা পাবো। বিভিন্ন উৎস থেকে ১ কোটি টিকা ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে।
বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন আনন্দের দিন। মনের সব কালিমা দূর করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে যাওয়ার মধ্যেই ঈদের আনন্দ। আজকের দিনে আমরা হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, লোভ, অহমিকা, ক্রোধ, অহংকার ইত্যাদি যাবতীয় কু-প্রবৃত্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শপথ নেবো।
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রসু বলে প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি যথাসম্ভব ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সেই সাথে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে এবারও ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হচ্ছে। আমরা ঈদ উদযাপন করবো, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না উঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।