উত্তরজনপদে বন্যার পদধ্বনি
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও দু’দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস রয়েছে। আকাশ তার মুখ ডেকে বসে আছে। সূর্যের দেখা নেই। যেকোন সময়েই জুম বৃষ্টি আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় মাত্র তিনঘন্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাতেই জলমগ্ন ঢাকা। এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশের উত্তরজনপদে উজান থেকে নেমে আসা জলে বন্যার আশঙ্কা করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
তবে জুলাই-আগস্ট মাসে স্বাভাবিকভাবেই জল বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ে দেশের কোথায়ও কোথায়ও বন্যা দেখা দিতে পারে।
এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ১০৩ মিলিমিটার। নেত্রোকোনায় ৯৫, সিলেটে ৭৫, বরিশালে ৬৬ মিলিমিটারসহ দেশের বেশিরভাগ জায়গায়ই বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার থেকে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দেশের বেশিরভাগ জায়গায়ই ভারী বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টি আরো দু’একদিন অব্যহত থাকতে পারে। তবে সামনে বর্ষা মৌসুম। এখন প্রায় নিয়মিতই বৃষ্টি আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের অসম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়ে মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদনদীসমূহের জল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিন যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে তা অব্যহত হলে এই মাসে কেথায়ও কাথায়ও বন্যা হতে পারে।
বিশেষ করে উত্তরজনপদের উজানে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে স্বাভাবিক যে বন্যা হয়, সেটা হতে পারে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখা যাচ্ছে না।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথায়ও কোথায়ও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের জল স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে। যমুনা ও পদ্মা নদীর জলও স্থিতিশীল। তা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর জল বৃদ্ধিটা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যহত থাকতে পারে।
সুরমা ব্যতীত দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদী সমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যহত থাকতে পারে।
এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত পর্যাবেক্ষণাধীন জল সমতল ১০১টি স্টেশনের মধ্যে ৬৩টির জল বেড়েছে, ৩১টির কমেছে ও ৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে।