ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমি কিন্তু কাউকে বলি নি সেই রাতের কথা…’ পিঙ্কিকে পাঠানো শ্রীময়ীর অডিও নোট, কী বললেন তিনি?

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ ২১৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘আমাকে সাপোর্ট করার মত কেউ নেই। নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছি। ‘

‘পিঙ্কিদি,

অ্যাকচুয়ালি দেখো তোমার সঙ্গে তো আমার কখনো শত্রুতা ছিল না। আই থট সো। তোমার সঙ্গে আমার তিনবার কথা হয়েছে ফোনে। একবার দেখা। তিনবারের মধ্যে একবার কথা হয়েছিল। তোমার জন্মদিনের দিন। আমি গাড়ি কিনছি, কাঞ্চনদাকে ফোন করেছিলাম।

তখন বলল যে আজ পিংকির জন্মদিন, আমি এসেছি। কাঞ্চনদার ফোনেই তোমাকে উইশ করলাম। তোমার প্ল্যান, তুমি নিজেকে এত সুন্দর মেনটেন করো,তাই নিয়ে কথা হল। তুমি বললে, স্পোর্টস বার নিজেকে গিফট করেছ। মনে আছে, ভিডিও কলে কথা হয়েছিল।

এই একটা দিন কথা হয়েছিল। সেকেন্ড ডে, কাঞ্চন দার ড্রাইভার যখন কাঞ্চনদার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করলো,  রাতের বেলায় অসভ্যতা করার চেষ্টা করলো আয়া আর ড্রাইভার, তখন আমি আমি পুলিশকে ফোন করেছিলাম। কারণ কাঞ্চনদার তখন পাগল পাগল অবস্থা। আমার মনে হল তোমাকে জানানো দরকার। আমি তোমাকে বলেছিলাম, উবের করে তোমাকে তুলে নিয়ে কাঞ্চনদার কাছে যাব। তুমি বললে যে, এত রাতে না গিয়ে পরদিন যাওয়াই ঠিক হবে, মনে আছে পিঙ্কিদি?

তোমার সঙ্গে যদি আমার আলাপ নাই থাকত, আমি কি তোমাকে ফোন করতে পারতাম। এরপর তোমার কোন একজন বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে  কী সমস্যা হয়েছিল, ঠিক তার পরদিন আমি সাউথ সিটি মলে যাই। কাঞ্চনদা আর ‘অসু’ এসেছিল। কাঞ্চনদা আমাকে বলল, পিঙ্কি বলেছে তোকে বাড়ি নিয়ে যেতে। আমি অসু (কাঞ্চন-পিঙ্কির ছেলে) আর কাঞ্চনদার সঙ্গে তোমাদের বাড়ি গেলাম, খাওয়াদাওয়া করলাম।

আমার যদি অন্য কোনও অভিপ্রায় থাকত, আমি কি আসতে পারতাম পিঙ্কিদি? তোমার বাড়িতে গিয়ে তোমার বাবার সঙ্গে আলাপ হল, তুমি ফোনে আমার মা-বাবার সঙ্গে কথা বললে। সেখানে আমি নিজে থেকেই তো মায়াপুর যাওয়ার প্রসঙ্গ তুললাম। তুমি তো নিজে অভিনেত্রী। কখনও কোনও সহ অভিনেতার সঙ্গে বাইরে কাজে যাওনি। আমরা তো মায়াপুর বেড়াতে যাই নি।

লুকনোর ইচ্ছে থাকলে তো তুমি জানতেও পারতে না। সব শুনে তোমার বাবা বললেন, একটা মায়াপুর ট্রিপের ব্যবস্থা করতে। তুমি বললে যে তুমি স্পিরিচুয়াল নও, তাই এই ধরণের জায়গা তোমার পছন্দ নয়। তখন আমরা পাহাড়ে যাওয়ার আলোচনা করেছিলাম।

তুমি নাকি বলেছ, লকডাউনে আমি ‘অসু’র খোঁজ করিনি। ওর জন্মদিনে আমি কেক পাঠালাম, ও আমার কাছে একটা সাইকেলের আবদার করেছিল, সেটা পাঠালাম। একটা ছোট ফুলের মত বাচ্চাকে কেন এর মধ্যে টেনে আনছো পিঙ্কিদি? তোমার আর কাঞ্চনদার মধ্যে কী হয়েছে না হয়েছে, আমি কোনওদিন প্রকাশ করিনি। ঠিক যেমন সেই রাতের কথা কখনো কাউকে বলি নি, কীভাবে তোমার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। কোনোদিন বলবও না।

তবে তোমার কাছে আমার প্রশ্ন, ২০২১ এর ফেব্রুয়ারির পর থেকে কী এমন হল যে তুমি আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলে? বোঝার চেষ্টা করো, আমি একজন অবিবাহিত মেয়ে। আমাকে সাপোর্ট করার মত কেউ নেই। নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছি। আমার রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ডও নেই, পরিবারের কেউ অভিনয় জগতের সঙ্গেও যুক্ত নয়। তাই আমি যথেষ্ট মুশকিলে পড়ব। এটা কি তোমার একবারও মনে হল না পিঙ্কিদি ?’ সূত্র জি ২৪ঘন্টা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘আমি কিন্তু কাউকে বলি নি সেই রাতের কথা…’ পিঙ্কিকে পাঠানো শ্রীময়ীর অডিও নোট, কী বললেন তিনি?

আপডেট সময় : ১১:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

‘আমাকে সাপোর্ট করার মত কেউ নেই। নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছি। ‘

‘পিঙ্কিদি,

অ্যাকচুয়ালি দেখো তোমার সঙ্গে তো আমার কখনো শত্রুতা ছিল না। আই থট সো। তোমার সঙ্গে আমার তিনবার কথা হয়েছে ফোনে। একবার দেখা। তিনবারের মধ্যে একবার কথা হয়েছিল। তোমার জন্মদিনের দিন। আমি গাড়ি কিনছি, কাঞ্চনদাকে ফোন করেছিলাম।

তখন বলল যে আজ পিংকির জন্মদিন, আমি এসেছি। কাঞ্চনদার ফোনেই তোমাকে উইশ করলাম। তোমার প্ল্যান, তুমি নিজেকে এত সুন্দর মেনটেন করো,তাই নিয়ে কথা হল। তুমি বললে, স্পোর্টস বার নিজেকে গিফট করেছ। মনে আছে, ভিডিও কলে কথা হয়েছিল।

এই একটা দিন কথা হয়েছিল। সেকেন্ড ডে, কাঞ্চন দার ড্রাইভার যখন কাঞ্চনদার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করলো,  রাতের বেলায় অসভ্যতা করার চেষ্টা করলো আয়া আর ড্রাইভার, তখন আমি আমি পুলিশকে ফোন করেছিলাম। কারণ কাঞ্চনদার তখন পাগল পাগল অবস্থা। আমার মনে হল তোমাকে জানানো দরকার। আমি তোমাকে বলেছিলাম, উবের করে তোমাকে তুলে নিয়ে কাঞ্চনদার কাছে যাব। তুমি বললে যে, এত রাতে না গিয়ে পরদিন যাওয়াই ঠিক হবে, মনে আছে পিঙ্কিদি?

তোমার সঙ্গে যদি আমার আলাপ নাই থাকত, আমি কি তোমাকে ফোন করতে পারতাম। এরপর তোমার কোন একজন বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে  কী সমস্যা হয়েছিল, ঠিক তার পরদিন আমি সাউথ সিটি মলে যাই। কাঞ্চনদা আর ‘অসু’ এসেছিল। কাঞ্চনদা আমাকে বলল, পিঙ্কি বলেছে তোকে বাড়ি নিয়ে যেতে। আমি অসু (কাঞ্চন-পিঙ্কির ছেলে) আর কাঞ্চনদার সঙ্গে তোমাদের বাড়ি গেলাম, খাওয়াদাওয়া করলাম।

আমার যদি অন্য কোনও অভিপ্রায় থাকত, আমি কি আসতে পারতাম পিঙ্কিদি? তোমার বাড়িতে গিয়ে তোমার বাবার সঙ্গে আলাপ হল, তুমি ফোনে আমার মা-বাবার সঙ্গে কথা বললে। সেখানে আমি নিজে থেকেই তো মায়াপুর যাওয়ার প্রসঙ্গ তুললাম। তুমি তো নিজে অভিনেত্রী। কখনও কোনও সহ অভিনেতার সঙ্গে বাইরে কাজে যাওনি। আমরা তো মায়াপুর বেড়াতে যাই নি।

লুকনোর ইচ্ছে থাকলে তো তুমি জানতেও পারতে না। সব শুনে তোমার বাবা বললেন, একটা মায়াপুর ট্রিপের ব্যবস্থা করতে। তুমি বললে যে তুমি স্পিরিচুয়াল নও, তাই এই ধরণের জায়গা তোমার পছন্দ নয়। তখন আমরা পাহাড়ে যাওয়ার আলোচনা করেছিলাম।

তুমি নাকি বলেছ, লকডাউনে আমি ‘অসু’র খোঁজ করিনি। ওর জন্মদিনে আমি কেক পাঠালাম, ও আমার কাছে একটা সাইকেলের আবদার করেছিল, সেটা পাঠালাম। একটা ছোট ফুলের মত বাচ্চাকে কেন এর মধ্যে টেনে আনছো পিঙ্কিদি? তোমার আর কাঞ্চনদার মধ্যে কী হয়েছে না হয়েছে, আমি কোনওদিন প্রকাশ করিনি। ঠিক যেমন সেই রাতের কথা কখনো কাউকে বলি নি, কীভাবে তোমার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। কোনোদিন বলবও না।

তবে তোমার কাছে আমার প্রশ্ন, ২০২১ এর ফেব্রুয়ারির পর থেকে কী এমন হল যে তুমি আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলে? বোঝার চেষ্টা করো, আমি একজন অবিবাহিত মেয়ে। আমাকে সাপোর্ট করার মত কেউ নেই। নিজের চেষ্টায় উঠে এসেছি। আমার রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ডও নেই, পরিবারের কেউ অভিনয় জগতের সঙ্গেও যুক্ত নয়। তাই আমি যথেষ্ট মুশকিলে পড়ব। এটা কি তোমার একবারও মনে হল না পিঙ্কিদি ?’ সূত্র জি ২৪ঘন্টা