আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় পৌছে দিয়েছেন শেখ হাসিনা : ড. মোমেন
- আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ ২৪০ বার পড়া হয়েছে
‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ১৪৭টি শুভেচ্ছা বার্তা ও ৩০টি ভিডিও বার্তা প্রদান করায় ড. মোমেন আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এক্ষেত্রে ভূমিকা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কূটনৈতিক ধীশক্তি ও দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় পৌছে দিয়েছেন। রবিার ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। বিদেশমন্ত্রক এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ড. মোমেন। চলতি বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের অংশ হিসেবে ফরেন সার্ভিস ডে পালিত হচ্ছে।
ভিডিও ভার্তায় ড. মোমেন বলেন. শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব প্রদান, মিয়নমারের বাস্তুচ্যুত লখো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়গুলো শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর অনেক প্রখ্যাত নেতা এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বাংলাদেশের অনন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য বিদেশমন্ত্রকের সকল কর্মকর্তাকে প্রস্তুত থাকারও পরামর্শ তুলে ধরেন ড. মোমেন। তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশের অবস্থান ও সংশ্লিষ্টতার কারণে ১৯৭১ সালের মত দক্ষিণ এশিয়া আবারও সারা বিশ্বে কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এম হোসেন আলীর নেতৃত্বে কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান মিশনের ৬৫জন বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে সে বছর ৬ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের দিল্লী দূতাবাস থেকে দুজন কর্মকর্তা কে এম শিহাবুদ্দীন ও আমজাদুল হক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। তাদের সাহস ও দেশপ্রেম অনুসরণ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরব হন।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসব সাহসী সন্তানদের অনুপ্রেরণার গর্বিত উত্তরাধিকার। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় ’ বঙ্গবন্ধুর এ মূলমন্ত্রকে বাংলাদেশ অনুসরণ করে চলেছে এবং তা গত ৫০ বছর এদেশের কূটনীতিতে সময়োচিত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদান ফরেন সার্ভিসের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রমের সুফল, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে। গত ৫০ বছর বৈদেশিক মিশনে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ষেখ হাসিনার ‘আমরাও পারি’ মানসিকতা ধারণ করার উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ফরেন সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তারা সারা পৃথিবীতে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা। করোনা মহামারির মধ্যেও সাহসিকতার সাথে কাজ করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জনান।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ১৪৭টি শুভেচ্ছা বার্তা ও ৩০টি ভিডিও বার্তা প্রদান করায় ড. মোমেন আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এক্ষেত্রে ভূমিকা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
জাতিগঠনে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০লক্ষ প্রবাসী বাংলদেশির অবদান সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করে, বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতি আস্থাশীল এবং সবসময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল বন্ধুরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।