ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফেনীতে দুর্ভোগে লাখো মানুষ আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে পাঞ্জাবির পকেটে মিললো কোটির টাকার সোনা প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের হু হু করে বাড়ছে বানের জল, টানা বর্ষণে নির্ঘুম রাত কাটছে ফেণীবাসীর  ৯ জুলাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী তরুণদের ভাবনায় ২৬’র নির্বাচনে বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২১, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’ কুয়েতে যেতে কোন শ্রমিককে গুণতে হবে আট লাখ টাকা! যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু

Sheikh Hasina : শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ: ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর খুবই সফল এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বাণিজ্য, সংযোগ ও জল ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়া এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো। যতই বাণিজ্য বাড়বে ততই সহযোগিতা সুদূর হবে।

বাংলাদেশে প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, অভিন্ন নদীর জল ইস্যুতে বড় অগ্রগতি হয়েছে। যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) আবারো কার্যকর হয়েছে। গঙ্গা চুক্তির ২৬ বছর পর দুই প্রধানমন্ত্রীর সদ্বিচ্ছায় কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টনে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক।

দোরাইস্বামী বলেন, গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। দুই দেশের ৫০ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব বর্ষ উদযাপনের সময়ই এতো উচ্চ পর্যায়ের সফর হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। এসব সফরে আগামী ২৫ বছরে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে। সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। অনেক বিষয় সম্পর্কে সমঝোতা হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মানুষ সুফল পাবে। আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক, সড়ক ও রেলের ক্ষেত্রে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। এর বাইরে দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র পথে সংযোগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একান্ত আলোচনায় জানানো হয়েছে যে, ভারতের আয়োজনে আগামী সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি করতে চাই আমরা, যা ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য জি-২০ জোটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে ভারত। তাদের সভাপতিত্বের সময় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জোটের শীর্ষ সম্মেলন হবে।

এই আমন্ত্রণের গুরুত্ব তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশসহ যে আট অতিথি দেশ আমন্ত্রণ পেয়েছে, তারা জি-২০ এর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসা অর্জনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে ফিরে যাওয়ার আগে বিক্রম দোরাইস্বামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে আমরা এই অঞ্চলের সবাইকে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু সব কিছুই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতা পাওয়ার কথাও বলেন দোরাইস্বামী। এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাজ্যে ভারতে মিশনের দায়িত্ব নিতে যাওয়া দোরাইস্বামীকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি এ কূটনীতিকের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Sheikh Hasina : শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ: ভারতীয় হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ছবি সংগ্রহ

নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর খুবই সফল এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বাণিজ্য, সংযোগ ও জল ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়া এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো। যতই বাণিজ্য বাড়বে ততই সহযোগিতা সুদূর হবে।

বাংলাদেশে প্রায় দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, অভিন্ন নদীর জল ইস্যুতে বড় অগ্রগতি হয়েছে। যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) আবারো কার্যকর হয়েছে। গঙ্গা চুক্তির ২৬ বছর পর দুই প্রধানমন্ত্রীর সদ্বিচ্ছায় কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টনে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক।

দোরাইস্বামী বলেন, গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। দুই দেশের ৫০ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব বর্ষ উদযাপনের সময়ই এতো উচ্চ পর্যায়ের সফর হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। এসব সফরে আগামী ২৫ বছরে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে। সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। অনেক বিষয় সম্পর্কে সমঝোতা হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মানুষ সুফল পাবে। আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক, সড়ক ও রেলের ক্ষেত্রে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। এর বাইরে দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র পথে সংযোগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একান্ত আলোচনায় জানানো হয়েছে যে, ভারতের আয়োজনে আগামী সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি করতে চাই আমরা, যা ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য জি-২০ জোটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে ভারত। তাদের সভাপতিত্বের সময় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জোটের শীর্ষ সম্মেলন হবে।

এই আমন্ত্রণের গুরুত্ব তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশসহ যে আট অতিথি দেশ আমন্ত্রণ পেয়েছে, তারা জি-২০ এর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসা অর্জনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে ফিরে যাওয়ার আগে বিক্রম দোরাইস্বামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে আমরা এই অঞ্চলের সবাইকে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু সব কিছুই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতা পাওয়ার কথাও বলেন দোরাইস্বামী। এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাজ্যে ভারতে মিশনের দায়িত্ব নিতে যাওয়া দোরাইস্বামীকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি এ কূটনীতিকের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।