ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাবে বিএজেপি: রফিকুল আমীন নিবন্ধন পেতে রোববার ইসিতে আবেদন করবে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি যোগব্যায়াম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার স্থায়ী বন্ধন ইরানের সমর্থনে তেহরান-বাগদাদ-বৈরুতের রাজপথে মানবঢল ইরানে হামলা: ইসরায়েলকে দিয়ে নোংরা কাজ করাচ্ছেন ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার মব ভায়োলেন্স বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি সেনাবাহিনীর  শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস কবিতা: বর্ষা ঢুকেছে দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চলানো নিয়ে ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক ইউনূস-তারেক লন্ডন বৈঠক, রাজনীতে সুবাতাস

Mahmuda Sultana : মাহমুদা সুলতানা’র কবিতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২ ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাধীনতা তুমি

স্বাধীনতা তুমি দেখতে কেমন?
তুমি তো আমার স্বাধীনতা।

তবে তোমাকে আমি দেখতে পারিনা কেন?
তুমি কোথায় লুকিয়ে আছে
ঐ বাজারের
নিত্যপন্যের দরের শরমের
আড়ালে?

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে তোমাকে
ছিনিয়ে এনেছি বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবো বলে।
বাজার দরের ভয়ে লুকিয়ে থাকার জন্য নয়।

স্বাধীনতা তুমি কি গণতন্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে আছো?
গণতন্ত্র একটু অসুস্থ তবে এই এল বলে।
সূর্যের মত প্রবল শক্তি নিয়ে।

স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্ত
মায়ের চোখের জল বোনের সম্ভাম জলাঞ্জলির বিনিময়ে পেয়েছ।
স্বাধীনতা তুমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেটে বসে কাদঁছো কোন?
আহ! ঘুষ খোরের শরমে তুমি লুকিয়ে কেন?

তুমি লুকিয়ে নয় মাথা উঁচু করে থাকবে সব জঞ্জাল সাফ করে।
দুখিনী মা কাঁদে তুমি বেরিয়ে আসো
তোমার বজ্র কঠিন কন্ঠ নিয়ে
তর্জনী উঁচুয়ে।

১১/৩/২২

(চলার সঙ্গে ভাবনার মিল হলেই অনায়াসে কাজটা সেরে নিতে পারেন। শৈশবকাল থেকেই লেখালেখির জগতে বিচরণ। গীটার তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। কোন কিছু ভেবে নিয়ে অনায়াসে লিখে যেতে পারেন বিরামহীন। মাহমুদা সুলতানা একাধারে লেখক, সমাজচিন্তক, গীটার বাদক, বাদিকশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক জগতের বাসিন্দা। মুক্তমনা এই লেখক আলোকিত সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। তার লেখার মাধ্যমে সমাজের মলিনতা দূর করতেই নিরন্তন কাজ করে চলেছেন। অগ্রসর চিন্তা নিয়ে সমাজের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনীটা মজবুত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। লেখার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী সমাজের অংশ গ্রহন আলাদা কোন বিষয় নয়, বরং এক কাতারেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি সমাজের শুভবোধের সারথী)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahmuda Sultana : মাহমুদা সুলতানা’র কবিতা

আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

স্বাধীনতা তুমি

স্বাধীনতা তুমি দেখতে কেমন?
তুমি তো আমার স্বাধীনতা।

তবে তোমাকে আমি দেখতে পারিনা কেন?
তুমি কোথায় লুকিয়ে আছে
ঐ বাজারের
নিত্যপন্যের দরের শরমের
আড়ালে?

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে তোমাকে
ছিনিয়ে এনেছি বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবো বলে।
বাজার দরের ভয়ে লুকিয়ে থাকার জন্য নয়।

স্বাধীনতা তুমি কি গণতন্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে আছো?
গণতন্ত্র একটু অসুস্থ তবে এই এল বলে।
সূর্যের মত প্রবল শক্তি নিয়ে।

স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্ত
মায়ের চোখের জল বোনের সম্ভাম জলাঞ্জলির বিনিময়ে পেয়েছ।
স্বাধীনতা তুমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেটে বসে কাদঁছো কোন?
আহ! ঘুষ খোরের শরমে তুমি লুকিয়ে কেন?

তুমি লুকিয়ে নয় মাথা উঁচু করে থাকবে সব জঞ্জাল সাফ করে।
দুখিনী মা কাঁদে তুমি বেরিয়ে আসো
তোমার বজ্র কঠিন কন্ঠ নিয়ে
তর্জনী উঁচুয়ে।

১১/৩/২২

(চলার সঙ্গে ভাবনার মিল হলেই অনায়াসে কাজটা সেরে নিতে পারেন। শৈশবকাল থেকেই লেখালেখির জগতে বিচরণ। গীটার তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। কোন কিছু ভেবে নিয়ে অনায়াসে লিখে যেতে পারেন বিরামহীন। মাহমুদা সুলতানা একাধারে লেখক, সমাজচিন্তক, গীটার বাদক, বাদিকশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক জগতের বাসিন্দা। মুক্তমনা এই লেখক আলোকিত সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। তার লেখার মাধ্যমে সমাজের মলিনতা দূর করতেই নিরন্তন কাজ করে চলেছেন। অগ্রসর চিন্তা নিয়ে সমাজের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনীটা মজবুত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। লেখার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী সমাজের অংশ গ্রহন আলাদা কোন বিষয় নয়, বরং এক কাতারেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি সমাজের শুভবোধের সারথী)