ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Four Chinese nationals arrested : প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার চীনা নাগরিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার চীনা নাগরিক

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গ্রেপ্তারকৃত চার চীনা নাগরিক : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির অভিযোগে চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন নারী রয়েছেন। বাংলাদেশে নাইজেরিয়া, উগান্ডাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু চীনা নাগরিকের চক্রটির অপরাধ কার্যক্রমকে অভিনব বলছেন তদন্তসংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকায় বসবাসরত কয়েকজন চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে মামলা হবার পর মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ঢাকার বারিধারা ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়াও উন (৪২), লিউ জিয়ানউ (৪৩), ইয়ান লিউ জুন (৩৯) ও লি মিন (৩২) নামের চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে।

পুলিশের সূত্রের খবর, চীনের নাগরিক লি ওয়েন জিংয়ের ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে। এর পরিচালনায় সহায়তা করেন স্বামী শাহ জাহাঙ্গীর আলম। এই রেস্টুরেন্টটি মূলত উত্তরা ও আশপাশে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের প্রধান আড্ডাস্থল। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চাকরির সূত্রে ওয়েনের সঙ্গে জিলিনের পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। কিছুদিন আগে জিলিনকে চীন থেকে বিভিন্ন পণ্য কম দামে এনে দেবার প্রস্তাব দেন ওয়েন।

কথাবার্তা ফয়সালা হবার পর বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তার রেস্টুরেন্টে চেন ইয়াংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন জিলিন। দীর্ঘক্ষণ পরও চেন ইয়াংয়ের তরফে নারীসহ চীনের কয়েক নাগরিক রেস্টুরেন্টে হাজির হন। জিলিনকে তারা বলেন, ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য চেন ইয়াং পাঠিয়েছেন এবং টাকা হস্তান্তরে খুব তাড়াহুড়ো করেন। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিলিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

অভিযোগ এ পর্যায়ে প্রথমে ভয়ভীতি ও পরে মারধর করে চায়নিজ নাগরিকরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জিলিন বাদী হয়ে মামলা করেন। দোভাষীর মাধ্যমে জিলিনের বক্তব্য শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজে তাদের উপস্থিতি মিলেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Four Chinese nationals arrested : প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার চীনা নাগরিক

আপডেট সময় : ০৮:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

গ্রেপ্তারকৃত চার চীনা নাগরিক : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির অভিযোগে চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন নারী রয়েছেন। বাংলাদেশে নাইজেরিয়া, উগান্ডাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু চীনা নাগরিকের চক্রটির অপরাধ কার্যক্রমকে অভিনব বলছেন তদন্তসংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকায় বসবাসরত কয়েকজন চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে মামলা হবার পর মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ঢাকার বারিধারা ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়াও উন (৪২), লিউ জিয়ানউ (৪৩), ইয়ান লিউ জুন (৩৯) ও লি মিন (৩২) নামের চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে।

পুলিশের সূত্রের খবর, চীনের নাগরিক লি ওয়েন জিংয়ের ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে। এর পরিচালনায় সহায়তা করেন স্বামী শাহ জাহাঙ্গীর আলম। এই রেস্টুরেন্টটি মূলত উত্তরা ও আশপাশে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের প্রধান আড্ডাস্থল। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চাকরির সূত্রে ওয়েনের সঙ্গে জিলিনের পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। কিছুদিন আগে জিলিনকে চীন থেকে বিভিন্ন পণ্য কম দামে এনে দেবার প্রস্তাব দেন ওয়েন।

কথাবার্তা ফয়সালা হবার পর বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তার রেস্টুরেন্টে চেন ইয়াংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন জিলিন। দীর্ঘক্ষণ পরও চেন ইয়াংয়ের তরফে নারীসহ চীনের কয়েক নাগরিক রেস্টুরেন্টে হাজির হন। জিলিনকে তারা বলেন, ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য চেন ইয়াং পাঠিয়েছেন এবং টাকা হস্তান্তরে খুব তাড়াহুড়ো করেন। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিলিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

অভিযোগ এ পর্যায়ে প্রথমে ভয়ভীতি ও পরে মারধর করে চায়নিজ নাগরিকরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জিলিন বাদী হয়ে মামলা করেন। দোভাষীর মাধ্যমে জিলিনের বক্তব্য শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজে তাদের উপস্থিতি মিলেছে।