‘ডেঙ্গু হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। ডাবে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি পূরণের সকল উপাদান। এ সময় বেশি করে ডাবের জল পানে উপকার মেলে’
‘স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত ৪৩ হাজার ১০৭ জন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭০ জন’
ভয়েস হেলথ ডেস্ক
ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর হানা! আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটোই ভাবাচ্ছে। দুশ্চিন্তার ভাজ প্রশাসনের কপালে। মোকাবেলায় নানা পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনসচেতনতার প্রচণ্ড অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত লক্ষ অর্জনে ধীর গতি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত ৪৩ হাজার ১০৭ জন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭০ জন।
ডেঙ্গুতে হলে যা খাবেন
একদিকে করোনা অন্যদিকে ডেঙ্গুর প্রভাব। এমন অবস্থায় সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ডেঙ্গু হলে শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার জরুরি। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরের প্লাটিলেট কমে যেতে শুরু করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। জ্বর হলে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। এতে রোগীর শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই কয়েকটি খাবার খাওয়ানো বিশেষ জরুরি।
কি খাওয়াবেন ডেঙ্গু রোগীকে?
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে জল ও তরল-জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেওয়া হবে। দৈনিক অন্তত তিন লিটার জল পান করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাবের জল জল খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে হবে। কারণ দ্রুত আরোগ্য লাভে প্রোটিনযুক্ত খাবারের বিকল্প নেই।
স্যুপ ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুবই উপযোগী। সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ করে দিতে পারেন রোগীকে। শিং মাছ, মাগুর মাছ, পাবদা মাছ ও বোয়াল মাছের ঝোল করে খাওয়া ভালো।
কয়েক প্রকারের ডাল পাতলা করে রান্না করে দিতে পারেন। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদাও পূরণ হয়।

জাউভাত, ক্ষীর, পাতলা খিচুড়ি ও দই রোগীর জন্য উপকারী। ডালিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এ সময় ডালিম খেলে বাড়বে প্লাটিনেটের সংখ্যা।
কমলা বা মালটার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ দুটি উপাদান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে উপকার করে।
রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো হলুদ। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
মেথি সবার ঘরেই নিশ্চয়ই আছে! ডেঙ্গু হলে অতিরিক্ত মাত্রার জ্বর কমাতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
ব্রোকোলি হলো ভিটামিন কে’র একটি ভালো উৎস। অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ এবং ওমেগো-থ্রি ফ্যাটি এসিড। পালং শাক গ্রহণে ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেট দ্রুত বাড়বে।
চিকিৎসাবিদকদের পরামর্শ ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে। সেইসঙ্গে মসলাযুক্ত খাবারের পাশাপাশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার শরীরে ক্লান্তি ও অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়।